ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত না হয়ে যে পরামর্শ অনুসরণ করতে পারেন

12
4

ডেস্ক রিপোর্ট

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু রোগে বিচলিত বা আতঙ্কিত না হয়ে নীচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। আজ এক তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়। পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে :

বাড়িতে চিকিৎসা চলাকালীন সতর্কতা; নীচের যেকোন একটি লক্ষণ দেখা দিলে অতিসত্বর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে :

১/ জ্বর কমার প্রথম দিন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি, ২/ বার বার বমি/মুখে তরল খাবার খেতে না পারা, ৩/ পেটে তীব্র ব্যথা, ৪/ শরীর মুখ বেশি দুর্বল অথবা নিস্তেজ হয়ে পড়া/হঠাৎ করে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া, ৫/ শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া/শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

বাড়িতে চিকিৎসাঃ ১/ পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ), ২/ স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, যেমন খাবার স্যালাইন, গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি। ৩/ জ্বর থাকাকালীন চিকিৎসা: প্যারাসিটামল ট্যাবলেট (পূর্ণবয়স্কদের জন্য : ২টি করে প্রতি ৬/৮ ঘণ্টা পর পর; বাচ্চাদের জন্য: বয়স ও ওজন অনুসারে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী), ৪/ জ্বর থাকাকালীন রোগী দিনরাত সবসময় মশারির ভিতরে থাকবে।

জ্বর থাকাকালীন নিম্নোক্ত ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে- ১/ ব্যথানাশক ঔষধ (এন.এস.এ.আই.ডি গ্রুপ যেমন, ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন, মেফেন), ২/ এসপিরিন/ক্রোপিডোপ্রেল (এন্টি প্লাটিলেট গ্রুপ) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ৩/ ওয়ারফারিন (এন্টিকোয়াগুলেন্ট) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, ২/ এন্টিবায়েটিক জাতীয় ঔষধ (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে)

এছাড়া যা করবেন- কুসুম গরম পানি বা নরমাল তাপমাত্রার পানি দ্বারা সারা শরীর মোছা (এই ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি দেয়া), বাড়ি ও এর আশেপাশের এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল নিশ্চিহ্ন করা এবং মশার আবাসস্থলে স্প্রে করা