১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবস

0
8
১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবস
১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবস

স্টাফ রিপোর্টার

১০ ডিসেম্বর, নড়াইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে এক সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে নড়াইল শত্রু মুক্ত করেন। দিনটি পালনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, নড়াইল প্রেসক্লাব, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,চিত্রা থিয়েটার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভ্যন্তরে গণকবরে এবং জেলা জজ আদালতের পার্শ্বে বধ্যভূমি এবং বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পণ, গণ সংগীত, এনভায়নমেন্ট থিয়েটার এবং স্মৃতিচারণ।

জানা যায়, ৮ ডিসেম্বর নড়াইল মহকুমার লোহাগড়া থানা শত্রু মুক্ত হয় এবং কালিয়া থানাও মুক্তির দ্বারপ্রান্তে। ৭ডিসেম্বর রাজাকারদের কুট কৌশলে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রাজাকারদের হাতে নিহত হয়। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষিপ্ত হয়ে ৯ তারিখ দুপুরে রূপগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানরত পাকিস্তানি রিজার্ভ ফোর্স, পুলিশ ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। দিনব্যাপি চলা এ যুদ্ধে পাক বাহিনী ও রাজাকাররা পরাস্থ হলেও সদরের বাগডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান শহীদ হন।

নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় তৎকালিন ওয়াপদা ডাক বাংলায়(বর্তমান পানি উন্নয়ন বোর্ড) পাকিস্তানি ও রাজাকার বাহিনীর সবচেয়ে বড় ক্যাম্প ছিল। ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠিত হয়ে সারা শহর ঘিরে ফেলে এবং পাকিস্তানি ক্যাম্পের চারপার্শ্বে অবস্থান নেয়। ১০ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকে রূপগঞ্জ জামে মসজিদ এলাকা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এলাকা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক মোল্লার দোতলা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩টি গ্রুপ পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে টানা ৭ঘন্টা ব্যাপক গুলি বিনিময় চলার পর বেলা ১১টার দিকে পাকিস্তানি ও রাজাকার বাহিনী আ/ত্মসমর্পণ করে। এ সময় পাক অধিনায়ক বেলুচ কালা খান ২২ পাকিস্তানী সেনা ৪৫ জন রাজাকার ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদের নড়াইল জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। এভাবে শত্রুমুক্ত হয় নড়াইল।