সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে ক্লাস

3
17
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে ক্লাস
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যথারীতি ক্লাস নেওয়া হয়েছে। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ থেকে কমলমতি শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার দুই সপ্তাহ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত শনিবার থেকে কার্যকর করা হলেও নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তা মানতে দেখা যায়নি। এদিনও যথারীতি ক্লাস নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ রেখে পেছনের পকেট গেট দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হয়। আর চরমভাবে উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি।

এদিন বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্রদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাইরে থেকে কেউ যাতে বুঝতে না পারে বিদ্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ রেখে পেছনের পকেট গেট দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ঢোকানো হয়। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে চলছে ক্লাস কার্যক্রম। এক একটি বেঞ্চে বসানো হয়েছে তিন থেকে চারজন শিক্ষার্থী।

বিন্দুমাত্র স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না সেখানে। শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্লাস চালু থাকায় তারা বিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক মহিতোষ কুমার দে বলেন, অনেক ছেলেরা না জেনে স্কুলে এসেছে তাই আজ ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকেই পুরোদমে ক্লাস নেওয়া হলেও তা অস্বীকার করেন।

এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল, এই বিদ্যালয়ে করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের প্রতিটি শ্রেণিতে বিরতি দিয়ে পালাক্রমে পাঠদানের সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তোয়াক্কা না করে কোনো প্রকার গ্যাপ ছাড়াই প্রতিটি শ্রেণিতে সপ্তাহর ৬দিন এক্সট্রা ক্লাস করানোর নামে ছাত্রদের নিকট থেকে জনপ্রতি এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুর রহমান কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। যদি এটা হয়ে থাকে আমি এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।