নড়াইলে মধুমতি পাঠাগারে জিপিএ ৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

0
7
নড়াইলে মধুমতি পাঠাগারে জিপিএ ৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
নড়াইলে মধুমতি পাঠাগারে জিপিএ ৫প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় মধুমতি পাঠাগারের পক্ষ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় নোয়াগ্রাম এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে এল.এস.জে.এন ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন, মরিচপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আজিজ-আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রঘুনাথপুর আলিম মাদ্রাসার ২০২২ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ উপহার হিসেবে তুলে দেন প্রধান অতিথি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর আলী।

মধুমতি পাঠাগারের সভাপতি ও এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. সৈয়দ এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ ওয়ালিউর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ ইয়াজুল হক, সুইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সৈয়দ মনিরুজ্জামান, লোহাগড়া সরকারী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের প্রফেসর আবুল বাশার সুমন, এমদাদ-হনজো মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী শামসুল হক, এল.এস.জে.এন ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশনের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন, মধুমতি পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ সহ পাঠাগের আজীবন সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যকালে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী বলেন, ‘মধুমতি পাঠাগারের কার্যক্রম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ ও সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’ এছাড়া মধুমতি পাঠাগারের সদস্যদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অনেক দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য ও ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুলক বিভিন্ন সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।

মধুমতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. সৈয়দ এমদাদুল হক জানান, এলাকার অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, তরুন সমাজ ও শিক্ষিত ব্যক্তিদের বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি, মানবিক ও শিক্ষিত সমাজ গঠন, সামাজিক ও পারিবারিক মুল্যবোধ তৈরি, সমৃদ্ধি সমাজ গঠনসহ জনসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এলাকার সুশীল সমাজের উদ্যোগে ২০২১ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।