স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের খড়রিয়া গ্রামে রবিন মন্ডলের (৭০) বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসীর আয়োজনে বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে রবিন মন্ডলের বাড়িতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য দেন-পেড়লী গ্রামের আব্দুর রউফ শেখ, ফারহাদ মোল্যা, ইমদাদুল শেখ, শরিফা বেগম, রবিন মন্ডল, সুমিত্রা মন্ডল, ভোলা মন্ডল,পূর্নিমা মন্ডল, পরেশ মন্ডলসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারি খড়রিয়া কদমতলা গ্রামের হাজি কুটি মিয়া বিশ্বাসের কাছ থেকে খড়রিয়া মৌজার ৭৮ শতক জমি কেনেন রবিন মন্ডল। সেই থেকে ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন রবিন। হঠাৎ করে ওই গ্রামের আমির হোসেন সেই জমি (৭৮ শতক জমি) জবরদখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়েছে। ওই জমিতে রবিন মন্ডল ঘর তুলতে গেলে তাকে বাঁধা দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী রবিন মন্ডল, তার স্ত্রী সুমিত্রা, ছেলে ভোলা মন্ডলসহ পরিবারের সদস্যরা বলেন, অভিযুক্ত আমির হোসেন প্রায়ই আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরণের কথা বলেন। জমি ছেড়ে দিতে বলেন। ঘর তুলতে দিচ্ছে না। গোয়ালঘর ভেঙ্গে দেয়ায় খোলা আকাশের নিচে রোদ বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে আমাদের সাতটি ছাগল ও একটি গরু মারা গেছে। আমাদের প্রশ্ন-বসতভিটা ছেড়ে আমরা এখন কোথায় যাবো ? পরিবারের ১৪ জন সদস্য কোথায় মাথা গুজব ? আমরা সঠিক বিচার চাই।
পূর্নিমা মন্ডল বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তির জন্য আজ আমাদের দূর্ভোগ। আমরা সরকারের কাছে বিচা চাই। ভোলা মন্ডল বলেন,আমাদের জমি আমির হোসেন দারোগা দখল করেছে। লোকজন এনে হামলা করে আমাদের বসতঘরবাড়ি গোয়ালঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। যারজন্য আমরা কষ্টে আছি। আমরা বিচার চাই।
সুমিত্রা মন্ডল বলেন, আমির হোসেন দারোগা জোর করে দখল করে বসতঘরবাড়ি গোয়ালঘর ভেঙ্গে দিলে খোলা আকাশের নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে আমাদের সাতটি ছাগল ও একটি গরু মারা গেছে। নির্যাতনে ও শোকে আমরা দিশেহারা। আমরা নতুন করে ঘর দিতে গেলে আমির হোসেন দারোগা আবারো লোকজন এনে বাধা দিচ্ছে। আমরা এখন কোথায় যাবো।
পেড়লী গ্রামের আব্দুর রউফ শেখ বলেন, রবিন মন্ডল ২০ বছর ধরে এ জমি ভোগদখল করে আসছেন। হঠাৎ করে খড়রিয়া গ্রামের আমির হোসেন দখল করে দেওয়াল দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ফারহাদ মোল্যা বলেন, আমাদের প্রতিবেশি রবিন মন্ডল সাদাসিদে মানুষ। জমি চাষাবাদ করে খায়। পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে অন্যজন কীভাবে তার জমি দখল করতে চায় ? বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমির হোসেন দাবি করে বলেন, এটা আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আমি রবিন মন্ডলের বসতভিটা দখল করিনি। তাকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়নি। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, জবরদখল করে জমি দখল করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমরা প্রতিবেদন দিয়েছি। আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে রায় দিবেন।