স্টাফ রিপোর্টার
লোহাগড়ার রাজাপুর গ্রামে ভূমি জালিয়াত চক্রের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় কৃষক ফরিদ মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত নান্নু মোল্যা জীবিত থাকা কালিন জালিয়াত চক্রের সহায়তায় কুমড়ি, বাটিকাবাড়ি, নোয়াগ্রাম, ধোপাদাহ ও বাতাসি মৌজায় অবস্থিত জমি যা লক্ষীপাশা সাবরেজিস্টার কার্যালয়ের পূর্বেই রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের দাগ, খতিয়ান ও দাতা-গ্রহীতার নাম পরিবর্তন করে নিজের নাম ব্যবহার করে একাধিক জাল দলিল তৈরি করেন। উক্ত জাল দলিলের ভিত্তিতে কৌশলে গত মাঠ জরীপে রাজাপুর মৌজার এক একরের বেশী জমি আর এস রেকর্ড করে নেন।
নান্নু মোল্যা মারা যাওয়ার পর উক্ত জমি দখল করার জন্য তার ছেলে উতার মোল্যার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বহিরাগত গত ৬ মে সকালে ট্রাক্টর দিয়ে উক্ত জমির পাট বিনষ্ট করে দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ফরিদ মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন বাধাঁ দিলে তাদের ওপর সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়। খবর পেয়ে লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সুচতুর উতার মোল্যা আইনি রক্ষা পেতে কৌশলে তার নিকট আত্মীয় ঈশানগাতী গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে খাইরুল ইসলামকে বাদী করে ফরিদ মোল্যাসহ তার পরিবারের নিরীহ ২২ জনকে আসামী করে নড়াইলের বিজ্ঞ আমলী আদালতে গত ৯মে একটি মারপিট ও ভাংচুরের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি’র) তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার ভয়ে ফরিদ মোল্যা ও তার পরিবার কৃষিকাজ ফেলে দীর্ঘদিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উতার মোল্যা , জমি রেকর্ড এবং মামলার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। লোহাগড়া উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নিত্যানন্দ চৌধুরী বলেন, দলিল জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের নামে আর এস রেকডের্র বিষয়ে যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে একটি মিসকেস দাখিল করলে তদন্ত করে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।
লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম উদ্দিন বলেন, মারপিট ও বাড়ি ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। কয়েক বছর আগের একটি বাড়ি ভাংচুরের ছবি ব্যবহার করে উতার মোল্যার লোকজন ফরিদ মোল্যার পরিবারকে হয়রানীর চেষ্টা করছে।