নড়াইলের হিজলডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি পদে ৪০ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য!

0
16

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই বহুল আলোচিত নিয়োগ পরিক্ষা আগামি ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ দিন ধরে প্রার্থীদের নিকট হতে দরকষাকষির এক পর্যায়ে ৪ টি পদে ৪০ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ইতিমধ্যে, জেলার এক সুনাম ধন্য আওয়ামী লীগ নেতার বাবার সাথে মোটা অংকের টাকায় যুক্তিবদ্ধ হয়ে সর্বমহল ম্যানেজ করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বোর্ডকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পরিক্ষার দিন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। শনিবারে সাজানো এই নিয়োগ বোর্ডে নাম মাত্র পরিক্ষা হয়ে ফলাফল সীটে সাক্ষর করানো হবে। আর সম্মানীর নামে ধরিয়ে দেওয়া হবে মোটা খাম। জানা গেছে, হিজলডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে
নিয়োগ দেওয়ার জন্য চারটি পদে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পূর্ব থেকে অফিস সহায়ক পদে সমীরণ বিশ্বাস, নৈশ প্রহরী পদে সনজিৎ দাস, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে সজীব মজুমদার ও আয়া পদে পূজা রায়কে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সিলেকশন করা হয়।আর এদের নিয়োগ চুড়ান্ত করতে পরীক্ষায় কোরাম পূর্ণ করতে প্রতি পদে প্রার্থীরা নিজেদের ২জন করে প্রক্সি প্রার্থীদের দিয়ে আবেদন করান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে গোপনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেবেন।
তাদের এহেন অপকর্মে বাধা দিলে প্রধান শিক্ষক নড়াইল শহর থেকে ভারাটে মাস্তান এনে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। যার ফলে কেউ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করছে না। মাস্তানদের ভয়ে অনেকে বিদ্যালয়ে আবেদন করতে সাহস পায়নি।

বহুল আলোচিত এই নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে এলাকায় অভিবাবক ও সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।তারা এহেন সাজানো নিয়োগ বোর্ড বাতিল পূর্বক সচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

হিজলডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হাসিবুর রহমান বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি সভাপতিকে অনুরোধ করেছিলাম আগে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে। পরে চতুর্থ শ্রেণির ৪টি পদে নতুন প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে কিন্ত সভাপতি এখনই চতুর্থ শ্রেণির ৪টি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে চাই।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি কৃষ্ণপদ শাখারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চতুর্থ শ্রেণির ৪টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। কোন টাকার লেনদেন হয়নি।আর আমি লেখাপড়া জানিনা নিয়োগ প্রক্রিয়া সর্ম্পকেও আমার জানা নেই। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই, বিষয়টি নিয়ে আমি খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।