স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর ডুমুরতলা মৌজায় জগনগনের চলাচালের জন্য নির্মানাধীন রাস্তার কাজ একটি পরিবারের বাধায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ওই পরিবারের বিক্রয়কৃত জমিতে ৪ফুট রাস্তা ছেড়ে দেয়ার কথা উল্লেখ্য থাকলেও মৃত গোলাম কবীরের সন্তানেরা হঠাৎ করে সেই জমি নিজেদের দাবি করে রাস্তা নির্মাণে বাধা প্রদান করছে। যার ফলে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্মানাধীন রাস্তাটি অসম্পুর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
এদিকে নির্মানাধীন রাস্তার কাজে বাধা দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকার জনগন। রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে ওই এলাকার অন্তত ২০টি পরিবারের যাতায়াতের সুযোগ তৈরি হবে।
জানাগেছে, পৌরসভার ঘোড়াখালী মোড়ের ৪০গজ দক্ষিণে মুল সড়ক থেকে পশ্চিমদিকে রাস্তাটি নেমে গেছে। রাস্তার কিছু অংশে ইটের সলিং বসানো হলেও ওই পরিবারটি বাধার কারনে কাজ স্থগিত রয়েছে।
রঘুনাথপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি ভূমি কর্মকর্তা নুর ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়েই আমার জমিতে হয়। রাস্তাটি পৌরসভার অনুমোদনের ভিত্তিতে ইটের সলিং দ্বারা নির্মাণ শুরু করলেও রাস্তার পাশের একটি বাড়ির মালিক মৃত গোলাম কবীর এর ছেলে আহসান কবীর ও মেয়ে সামিরা জাহান এ রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছেন। তাদের দাবি ওই রাস্তা নির্মিত হচ্ছে তাদের জায়গার ওপর দিয়ে। অথচ জমির সাবেক মালিক জমি বিক্রির সময় রাস্তার জন্য দলিলে উল্লেখ করে জমি ছেড়ে দিয়েছেন। সেই জমির ওপর দিয়েই রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ওই রাস্তা দিয়ে এলাকার সর্বসাধারণ যথারীীত যাতায়াত করে আসছেন।
নির্মাণাধীন রাস্তার পাশের জমির মালিক আরিফ আহম্মেদ বলেন,‘ রাস্তাটি নির্মাণ হলে নূরুল ইসলাম, হাবিবুল সিকদার, নূর বিলাল শেখ, শেখ নূরুজ্জামান, মাসুম কাজী, সমির উদ্দিন মোল্যা সহ অন্তত ২০টি পরিবারের উপকার হবে। অনেকেই রাস্তা না হওয়ায় বাড়িঘর নির্মাণ করতে পারছে না। ওই পরিবারের সদস্যরা শুধু রান্তা উন্নয়ন কাজে বাঁধা দেয়নি, এলাকার সম্মানীয় ব্যক্তিদের অসম্মান ও মানহানীকর কথা বলেছে। এমনকি তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর কথা লিখে মানহানী করেছে।
এব্যাপারে অভিযোগকারী পরিবারের সদস্য মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের রাস্তা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই। কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, বিধায় বাধা দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে।’
নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘রঘুনাথপুর- দুর্গাপুর ডুমুরতলা মৌজায় ওই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সকলের সম্মতিতে একটি নকশা তৈরি করা হয়। সেই নকশায় আমি মেয়র, প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক. ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মাসুদ রানা বাবলু, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল বিশ্বাস, নারী কাউন্সিলর আঞ্জুমনোয়ারা, স্থানীয় কাউন্সিলর জুয়েল, সার্ভেয়ার মোঃ ইলিয়াস শেখ স্বাক্ষর করেছি। ওই রাস্তাটি এলাকার সাধারণ মানুষের অনুরোধে তাদের স্বার্থে করা হচ্ছে। জনস্বার্থে আশা করবো উভয়পক্ষ আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয় সমাধান করবে। জনস্বার্থেই রাস্তাটি করা হচ্ছে।’