ডেস্ক রিপোর্ট
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে বিচারাধীন মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ ব্যক্তির বিবৃতি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের ২৫৬ জন শিক্ষক।
নোবিপ্রবি নীলদলের সভাপতি ড. এমডি মাসুদ রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ২৫৬ জন সদস্যের সকলেই স্বাক্ষর করেন।
প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তার সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন বিদ্যমান এবং আইন সবার জন্য সমান হওয়ায় এখানে দেশীয় বা বহিরাষ্ট্রীয় কারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিষয়ে অযাচিত এবং অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি বা চিঠি প্রদান করা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার উপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ এবং ড. ইউনূসের ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিবৃতি অত্যন্ত অমানবিক বলে মনে করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৬ জন শিক্ষক।
পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়, উদ্বেগের সাথে লক্ষণীয় যে উক্ত বিবৃতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিরূপ মন্তব্যও করা হয়েছে। যা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ এই ধরনের অযাচিত, অবমাননাকর ও বেআইনি হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টাকে নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করে।
এ ছাড়াও আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুনাম ও সমৃদ্ধি যখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তখন একথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে উক্ত বিবৃতি দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিমূলক।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল এই ১৬০ কর্তাব্যক্তির বিবৃতির প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমআইনে চলমান মামলা স্থগিত চেয়ে কিছু নোবেলজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ ১৬০ জন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দেয়।