স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এদের কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন ও ৪শ’ অবৈধ মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও কুবাদ আলী (৪২)।
বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহা: মেহেদী হাসান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, তারেক আল মেহেদী,দোলন মিয়া, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ছাব্বিরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিন শেখ (২৮) কাজের সন্ধানে লিবিয়ায় গমনের দুই বছর পর মানবপাচার চক্রের কবলে পড়েন। ওই চক্রের ৪-৫ জন সদস্য আল আমিনকে লিবিয়ায় একটি বাড়িতে আটকে রাখে।পরে এক ব্যক্তি তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোবাইর ফোনে ১০লাখ টাকা দাবি করে।এরপর ওই ব্যক্তি আল আমিনকে মারধর করার অডিও,ভিডিও ও ছবি বাড়ির সদস্যদের কাছে প্রেরণ করে। আল আমিনকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজন ওইব্যক্তির দেয়া বিকাশ নাম্বারে তিনবারে মোট ১০লাখ টাকা প্রদান করেন।
ঘটনা উল্লেখ করে গত ৬ মে আল আমিনের ছোট ভাই আরিফুর জ্জামান বাদি হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়েরের পর গোয়েন্দা পুলিশ মানব পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা গ্রাম থেকে থেকে ৮টি মোবাইল ফোন ও ৪শ’ অবৈধ মোবাইল সিমসহ তরিকুল ও কুবাদকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।