স্টাফ রিপোর্টার
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ (৫ সেপ্টেম্বর)। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটিতে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। দেশের এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের অঅয়োজনে নড়াইলের নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘরের সামনে তার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কোরআন খানি ও দোয়া এবং স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়,১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর, বর্তমানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি) যোগদান করেন। দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই বদলি হন যশোর সেক্টরে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮নং সেক্টরে দেশ মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন নড়াইলের এ সাহসী সন্তান। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এস এ মঞ্জুর। ৫ সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলেও সহযোদ্ধাকে কাঁধে নিয়েই এলএমজি হাতে নিয়ে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর একটি মর্টারের আঘাতে নূর মোহাম্মদের হাঁটু ভেঙ্গে যায়। শক্রমুক্ত করার জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ চেষ্টা চালিয়ে যান। দেশ মাতৃকার জন্য এ অসামান্য অবদানের জন্য তৎকালীন সরকার তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করেন।
নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমানে নূর মোহাম্মদনগর)। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা।