স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস। সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুর পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ ফজলুর রহমান জিন্নাহ, এমদাদুল হক, আসিফুর রহমান বাপ্পি, পিপি অ্যাডঃ এমদাদুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ, লোহাগড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফেজ মফিজুল হক, সদস্য কাজী সরোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক গাউসুল আযম মাসুম প্রমুখ। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইল পৌর আওয়ামীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু দাবি করেন, নড়াইলের দুটি আসনে নির্বাচন এলেই অতিথিপাখিদের আগমন ঘটে। কিন্তু নির্বাচন চলে গেলে এবং দলের দুর্দিনে কাউকেই পাশে পাওয়া যায় না। এসব অতিথি পাখিদের কারণে দলের বিভাজন সৃষ্টি হয়ে অর্ন্তকোলহ বেড়ে যায়। এদের দ্বারা দলের কোন উপকার হয় না, বরং দল ও নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আসন্ন দুর্গাপূজায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পূজা উদযাপন কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগত। তাই আমাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের মাধ্যমে এখন থেকেই জোরালোভাবে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, নড়াইলের দুটি আসনই আওয়ামী লীগের উর্বর ভূমি। আমাদের ভূল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে কাজ করতে হবে। দলের অবস্থানগত কারনে এ দুটি আসনে কোন শরীক দলের কাউকে মনোনয়ন না দেয়ার আহবান জানান তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, নড়াইল-২ আসনে গত সংসদ নির্বাচনে শরীকদলকে মনোনয়ন দেওয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের কোন মুল্যায়ণ করেননি। এমনকি কোন যোগাযোগ রাখেনি। সরকারীভাবে যে উন্নয়ন হয়েছে এর বাইরে সংসদ সদস্যের দ্বারা এই আসনে কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। সরকারের ভাবমূতি রক্ষায় এবং দলের অবস্থান শক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় পূজা শারদীয় দুর্গোৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য, জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিজ এলাকার পূজা উদযান কমিটিকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।