নিউজ ডেস্ক
ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যমবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সম্প্রতি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ঐ গৃহিণী অভিযোগ করেন, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাতে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তার বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। যদিও এ ঘটনার সঙ্গে দলীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা।
জেলার পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, জেলা সদরের একটি হাঁস-মুরগীর খামার থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মামলার আসামি বেচুকে সেনবাগের একটি ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে মোট পাঁচজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হল।
সুবর্ণচরের আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। আর বেচু (২৫) মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। এ মামলার এজাহারে বেচুর নাম রয়েছে পাঁচ নম্বরে।
এর আগে বুধবার কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার ১ নম্বর আসামি সোহেল, মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে ৩ নম্বর আসামী স্বপনকে (৩৫) গ্রেপ্তার হয়। তার আগে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় মামলার ৬ নম্বর আসামি বাসুকে।
চরজব্বার থানায় তার ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামীরা তার বাসা ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে মারধর করে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
আসামিদের তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন মধ্যবাগ্যা গ্রামের হানিফ, চৌধুরী, আবুল, মোশারেফ ও সালাউদ্দিন। বর্তমানে ঐ নারী ও তার স্বামী এখন নোয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার ডিআইজি গোলাম ফারুক হাসপাতালে তাদের দেখতে গেলে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, রুহুল আমিনের অনুসারীরা তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। কিন্তু মামলার এজাহার থেকে পুলিশ রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়েছে। এরপর বুধবার রাতে রুহুলকে আটক করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অপরাধী যে ই হোক না কেন তাকে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।