স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গৃহবধুর ভাসুর শহিদুল ইসলাম ও আলতাফ শেখ আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ধামকৈল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রবিবার দুপুরে পুলিশ গৃহবধূকে জবানবন্দির জন্য থানায় নিয়ে যায়। গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশ্ববর্তী হাজী ইয়াকুব আলীর ছেলে আব্দুল মমিন আমার ঘরের দরজার সামনে এসে আমাকে ডাকতে থাকে। আমি ঘুম থেকে ঘরের দরজা খুলতেই সে আমার ঘরে মধ্যে প্রবেশ করে জোর করে আমাকে ধর্ষণ করে।
এসময় আমার চিৎকারে আমার ভাসুর ও বাড়ির আশপাশে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা আব্দুল মমিনকে আটক করলে সে এলোপাথারি কিলঘুষি মেরে পালানোর চেষ্টা করলে দুই জন আহত হয়। রাতেই সুষ্ঠ বিচারের কথা বলে গ্রামের মাতব্বররা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার দুপুরে গৃহবধূকে থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে কামারখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত জানিয়েছেন। গৃহবধুর ভাসুর শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট ভাই বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে বাড়ির পাশ্ববর্তী আব্দুল মমিন জোর পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আব্দুল মমিনকে আটক করলে সে আমাকে ও আমার ভাইকে মারপিট করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় মাতব্বররা বিচারের কথা বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য লিটন সরকার বলেন, রাতে গৃহবধুর চিৎকারে তার বাড়িতে আমরা যায়। সেখানে গৃহবধুর ঘরে আব্দুল মমিনকে আটক অবস্থায় দেখতে পাই। সে জানায় তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে আব্দুল মমিন। রাতেই ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করা হয়।