স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কিশোরী পলি খাতুনক (১৪) ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনা গ্রাম্য শালিস বৈঠকের মাধ্যমে আপস মিমাংসার নামে ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে শাহজাদপুর থানা পুলিশ গতকাল বুধবার বিকেলে ইউপি সদস্য সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হল,শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল জলিল(৫০),ফিরোজুল ইসলাম ফিরোজ(৪৮) ও নূর মোহাম্মদ মুন্সি(৪৬)। এদের সবার বাড়ি যুগ্নীদহ গ্রামে।
উল্লেখ্য, উপজেলার যুগ্নীদহ মধ্যপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাধুর কিশোরী মেয়ে পলি খাতুন(১৬) মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশের জমিতে শাক তুলতে যায়। এ সময় একই গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে আতিক (১৬),শহীদের ছেলে মনিরুল (১৬) ও আকতারের ছেলে নাহিদ (১৮) নামের ৩ লম্পট তাকে জোরপূর্বক পাশের ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। মূমুর্ষ অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফিরলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে কিশোরী পলি খাতুন মারা যায়।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খাজা গোলাম কিবরিয়া বলেন, আটক এ ৩ জন সহ আরো বেশ কয়েক জন ব্যক্তি নিহতর লাশ বাড়িতে রেখে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রাম্য শালিস বৈঠকের মাধ্যমে আপস মিমাংসার নামে এ ঘটনা ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ফলে ঘটনার এক দিন পর পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। এ ঘটনাটি দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।