স্টাফ রিপোর্টার
হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচার দাবিতে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে শহরের ভওয়াখালী এলাকায় এ সংবাদ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নড়াইলের লোহাগড়া কলেজপাড়ার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী সাফিয়া বেগম বলেন, বিশেষ মহলের দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমরা মারপিট ও চুরি মামলার আসামি হয়েছি। আমার স্বামী ব্যবসার সূত্রে ২০০৯ সালে লোহাগড়ার কলেজপাড়ায় মুক্তার হোসেন ভূঁইয়ার কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনেন।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে এই জমিতে বাড়ি করার সময় থেকে আমাদের সাথে মামলার বাদী সুলতান মাহমুদের বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে আমাদের সাথে মাঝে-মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যায় তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুন রাত ৮টার দিকে আমার পরিবারের ওপর মাহমুদের পরিবার চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় আমাদের বাসার গেট থেকে দুই মেয়েসহ আমাকে চুলের মুঠি ধরে এলিচ এবং পরশ টেনে-হিচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। আবুজারসহ কয়েকজন ঠেকাতে আসলে তাদেরও মারধর করে তারা। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষেই আহত হয়। চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মাহমুদের পরিবার সেখানেও আমাদের ওপর চড়াও হয়। পরে আমরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় আমরা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
এদিকে লোহাগড়া কলেজপাড়ার জিল্লুর রহমানের ছেলে সুলতান মাহমুদসহ (৩৬) তার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাফিয়া বেগমের বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ করায় এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। এ নিয়ে মহল্লায় শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার হয়নি।
প্রতিবেশিসহ কলেজপাড়ার বিভিন্ন পেশার মানুষ বলেন, হাফিজুর রহমানের স্ত্রী সাফিয়া বেগমের সঙ্গে তার বাসায় আশ্রিত মোজাম্মেল শেখ মোজামের পরকীয়াসহ অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় সুলতান মাহমুদের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়। গত ১৩ জুন রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে সুলতান মাহমুদ ও তার ভাই আসিফ মাহমুদ পরশকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ সময় তাদের মা সুলতানা পারভীনকেও আহত করে হাফিজুরের লোকজন। গুরুতর আহত দুই ভাই বর্তমানে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে হাফিজুর রহমান (৫০), আবুজার শেখসহ (২২) নয়জনের নামে গত ১৪ জুন লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।