নিউজ ডেস্ক
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা শহরের কলেজ রোডে স্ত্রীর সামনে ও প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানা৷ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বরগুনার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যেকোনো মূল্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে, গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা শহরের কলেজ রোডে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামের দুলাল শরীফের ছেলে রিফাত শরীফকে (২৩) স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। আহত রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে তার শরীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় রিফাতের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এই হামলা একটি নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমি যতোটা পুলিশ সোর্সে জানতে পেরেছি এবং আমাদের মিডিয়াতেও খবর এসেছে, বিষয়টি অনেকটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও প্রেমঘটিত। সেখান থেকে ব্যক্তিগত বিদ্বেষের প্রকাশ ঘটেছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে রিফাত হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে চন্দন নামের এক আসামিকে বুধবার রাতে জেলা শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যায়। বরগুনা থানার ওসি আবীর মো. হোসেন সংবাদ মাধ্যমে জানান, নিহত রিফাত শরীফের (২৩) বাবা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামের দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে বরগুনা থানায় এসে ওই মামলা দায়ের করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের যেকোনো মূল্যে গ্রেফতার এবং বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। রিফাত হত্যার মধ্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কিনা’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলন, সামগ্রিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে- এটা কি বলা যায়? এগুলো দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বরগুনার ঘটনা তো আর রাজনৈতিক না।
তিনি বলেন, দেশে বিরোধী দল আছে, কিন্তু তারা এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি যেখানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে। বরং তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত। তাদের দলীয় অফিসে তালা দিচ্ছে তাদেরই দলের লোকেরা। বাইরে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, আপাতত ঘটনা ঘটার লক্ষ্মণও নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। মাদকের বিষয় হলে মাদকবিরোধী যে আইন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
