নড়াইল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ওপর সন্ত্রাসীদের হামলা, নার্সসহ আহত ৪

944
1850

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে এক কলেজ ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাকালে দ্বিতীয় দফায় আবারো হামলা চালিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ঠেকাতে গিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের একজন নার্স ওই কলেজ ছাত্রের পরিবারের ৩ সদস্য আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালের দ্বোতলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। আহত যুবক লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শালবরাত গ্রামের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে নাছির উদ্দিনের (২৫) ছেলে। সে লোহাগড়া সরকারী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

আহত নাছির বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে লোহাগড়া বাজারের মোল্যা মার্কেটের তালহা ফ্যাশনে টি শার্ট কিনতে যাই। এসময় দুটি টি-শার্টের দাম ওই দোকানদার ৪শত টাকা দাবি করে। আমি ৩শত টাকা দাম বলায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে আমাকে দোকানদার শামীম, বিপ্লবসহ ৩/৪ জন মিলে স্টীলের একটি লাঠি দিয়ে বাড়ি মারে। তখন আরো মারতে গেলে আমি দৌড়ে পাশের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেই। সেখানে গিয়ে আমাকে ঘিরে মারতে থাকে। এসময় আমার ডান পা, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে ও রক্ত ঝরতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করে।
আহত নাছিরের মা রেনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে নাছিরের চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিকাল ৫টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। রাত ৮টার দিকে লোহাগড়ার ওই দোকানদারসহ অপরিচিত ১৫/১৬ জন লোক এসে হাসপাতালের বেডে আমার ছেলের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে যায়। ক্ষুর দিয়ে মাথায় পোঁচ দিতে যায়। ঠেকাতে গিয়ে নাইম মিয়া, ছোট মেয়ে টেকলি এবং একজন নার্স আহত হয়েছি। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলতো। আমরা হাসপাতালে এখন চরম আতঙ্কে রয়েছি।’

নড়াইল সদর থানার এসআই পিয়াস সাহা বলেন, খবর শুনেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এএফএম মহিউদ্দিন বলেন, বিকাল ৫টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার্ড অবস্থায় আহত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ভর্তি করা হয়। রাতে দুবৃত্তরা হাসপাতালের বেডে গিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর পুনরায় ওই ছেলেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের একজন নার্সসহ ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে এসে মারার ঘটনাটি খুবই দু:খজনক।