স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বৃহস্পতিবার (৮আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি ভেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগীদের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি অতি জরুরি ভাবে হাসপাতালের বিকল যন্ত্রপাতি সচল এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড আরও কার্যকরী করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, বিলের কথা চিন্তা করতে হবে না, আগে জীবন বাঁচাতে হবে। ভেঙ্গু রোগ সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে ভেঙ্গু নিয়ে ক্রাইসিস চলছে, এর প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, নড়াইল-২ আসনের এমপি ব্যক্তিগত অর্থে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু সনাক্তকরণে নড়াইল এবং লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১হাজার ৫০টি কিট বিতরণ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সদর হাসপাতালে ১৫জন এবং লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮জনসহ মোট ২৩জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ৯জন এবং লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২জন ভর্তি হয়েছে। গত ১৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ৪৭, লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ এবং কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২জনসহ মোট ৬২জন ভর্তি হয়েছে।
এমপি মাশরাফী পরে সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় যোগ দেন। সভায় এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু,পুলিশ সুপার মোহম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, পৌর মেয়র মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন বিশ্বাস, সিভিল সার্জন ডাঃ আসাদ উজ জামান মুন্সি, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডাঃ মোঃ শাকুর, সদর আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান বাব প্রমুখ। এ সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির কর্মকর্তা এবং হাসপাতালের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এমপি মাশরাফী হাসপাতালের রোগিদের জন্য চলমান খাবার পরিবেশনের টেন্ডার বাতিলের আদেশ দিয়ে নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে (ধোপা) হাসপাতালের কাপড় পরিস্কার বন্ধ করে হাসপাতালে দু’জন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে কাপড় পরিস্কারের সুপারিশ করেন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, হাসপাতালে খাবারের মান নিম্নমানের। এছাড়া হাসপাতালের বেডসিটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাপড় পরিস্কার বাবদ প্রতি মাসে বিল হয় ১লাখ ২০ হাজার টাকার মতো বিল হলেও কাপড় ঠিকমতো পরিস্কার করা হয়না। এ বিষয়গুলি এমপির নজরে আসায় তিনি এসব সুপারিশ দেন।