ডেস্ক/এসএস
পৃথিবীর ফুসফুস আমাজনের আগুন নিয়ে যখন সারা বিশ্বের মানুষ চিন্তিত, ঠিক তখনই মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কঙ্গো বেসিনের বনাঞ্চল ও জ্বলছে দাউ দাউ করে। সম্প্রতি নাসার উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে আফ্রিকার কঙ্গো বেসিনের জঙ্গলের আগুনের ভয়াবহতা। আমাজনের পরে এটিই হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেন ফরেস্ট। এজন্যই এই বনাঞ্চলটিকে পৃথিবীর দ্বিতীয় ফুসফুস বলা হয়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির ‘ফায়ার ইনফরমেশন ফর রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ জানিয়েছে,”অ্যাঙ্গোলায় কমপক্ষে ৬ হাজার ৯০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে কঙ্গো জ্বলছে ৩ হাজার ৩৯৫টি আগুনে।” সেখানকার কর্মকর্তাদের মতে, গত সপ্তাহে কঙ্গো ও অ্যাঙ্গোলায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাজিলের চেয়েও ভয়াল আগুন দাপট দেখিয়েছে। এছাড়া তানজানিয়া ও জাম্বিয়ার অংশেও আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে নাসা।
আগুনের উৎসের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মী ও দূত টোসি এমপানু জানান, “আফ্রিকা আর ব্রাজিলের আগুন একই কারণে তৈরি হয়নি। আমাজনে হয়তো খরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এই অবস্থা। তবে মধ্য আফ্রিকা জ্বলছে মূলত ভ্রান্ত কৃষি পদ্ধতির কারণে।” কৃষি পদ্ধতির জন্য আগুন লাগার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত জুম পদ্ধতিতে চাষ করা ও কাঠ জ্বালানি ব্যবহার করা। কঙ্গোর মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পান। তাই যারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই কাঠ জ্বালিয়ে রান্নাবান্না ও অন্য কাজ করেন। সেখানে অরণ্য-নিধন চলছে ব্যাপক হারে। খনিজ ও তৈল প্রকল্পের জেরেও ক্ষতি হচ্ছে। এসব কর্মকান্ডের কোন একটির কারণে এই দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।