স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ৯৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম সহ প্রশাসনিক কাজকর্মে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি উপজেলার ৮৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত শাহজাদপুর উপজেলায় ২২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অপরদিকে, ১ হাজার ২শ’ ২টি পদের মধ্যে ৮৮ টি সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলার ২২৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৭৩ হাজার ৯৭৮ জন। অবসর ও অবসর জনিত ছুটি, সিনিয়র শিক্ষকদের পদোন্নতি জটিলতা ও মাতৃকালীন ছুটির কারণে এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবসর ও অবসর জনিত ছুটি এবং সিনিয়র সহকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি না হওয়ায় ৯০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। অপরদিকে, হাইকোর্টে মামলা থাকার কারণে ৫টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
তিনি আরও জানান, নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দেয়া এবং সহকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি না হওয়ার কারণে শূন্য হওয়া প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রস্তাব অনুযায়ী জেলা শিক্ষা অফিসার সিনিয়র সহকারি শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে আসতেন। কিন্তু বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেনীতে উন্নিত হওয়ায় পদোন্নতির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপরে ন্যস্ত হয়েছে। এর ফলে সিনিয়র সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ইতোমধ্যেই ৮৪ জন শিক্ষকের পদোন্নতির প্রস্তাব দিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও অদ্যাবধি মন্ত্রণালয় থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে ওই সব বিদ্যালয়ে সুষ্ঠভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোয় নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মাতৃকালীন ছুটির পাশাপাশি প্রতি মাসেই ২/১ জন করে শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় উদ্ভূত সমস্যা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।