ডেস্ক রিপোর্ট
বল টেম্পারিং-এর দায়ে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া আসরে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং বল টেম্পারিং করতে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যানক্রফট ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ। কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ক্যামেরন ব্যানক্রফট বল টেম্পারিং করেন।
শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া আসরই নয় আগামী মাস থেকে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে পারবেন না স্মিথ ও ওয়ার্নার। আইপিএলের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তিও হারিয়েছেন তারা। যার মূল্য ২ মিলিয়ন ডলার। এক বিবৃতিতে সিএ জানায়, ‘সকল আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া আসরে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ব্যানক্রফটকে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে বল টেম্পারিং করা তিন খেলোয়াড়কে অনুমতি ও উৎসাহী করা হবে ক্লাব ক্রিকেটে খেলার জন্য’। সিএ’র অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে, বল টেম্পারিং-এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
কৃত্রিম উপায়ে বলের আকার পরিবর্তন’ পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত হন স্মিথ। কিন্তু পরিকল্পনায় সহযোগিতা করার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন ওয়ার্নার। সিএ’র বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পরও অন্তত ১২ মাস দলের নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবেন না স্মিথ । ভবিষ্যতে ওয়ার্নারও এমন অবস্থান থেকে বাধাগ্রস্ত হবে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এই তিন খেলোয়াড়কে অবশ্যই কমিউনিটি ক্রিকেটে ১শ’ ঘন্টার জন্য স্বেচ্ছা শ্রম দিতে হবে।
বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফটকে। তবে কোচ ড্যারেন লেহম্যানকে নিজ দায়িত্বেই রেখে দিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলেছে তিনি বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেননা।
আগামী শুক্রবার জোহানেসবার্গে শুরু হতে যাওয়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের চতুর্থ এবং শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্ব দেবেন উইকেট রক্ষক টিম পাইন। দল থেকে বিতাড়িত ওই তিন খেলোয়াড়ের পরিবর্তিত হিসেবে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিমানে করে উড়াল দিয়েছেন ম্যাট রেনশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জো বার্নস। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইতোমধ্যে ম্যাচ ফির পুরোটাসহ এক ম্যাচের জন্য স্মিথকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ঘটনাবহুল ম্যাচটি শেষে তিনি বলেছেন, এই পরিকল্পনার সঙ্গে দলের নেতৃস্থানীয় সবাই জড়িত ছিল। তবে সাদারল্যান্ড বলেছেন, কোচ লেহম্যান এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
Pic: AFP