স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত খাদিজাকে একনজর দেখার জন্য হাজার হাজার উৎসুক জনতা সকাল থেকেই তার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছে। জনতার ভীড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ওই মহল্লা বাসী। ওই মহল্লার বাসিন্ধা হামিদুল ইসলাম ও লুৎফর রহমারসহ অনেকেই এ প্রতিবেদককে বলেন, খাদিজার নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরের ঘটনা মুহূর্তের মধ্যেই তাড়াশের প্রত্যেন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
খাদিজাকে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেইে হাজার হাজার উৎসুক জনতা বাড়িটিতে ভীড় জমায়। এতে ওই বাড়ি ও তার আশে পাশের বাড়িসহ পুরো মহল্লাজুড়ে লোকে লোকারন্ন হয়ে যায়। মানুষের ভীড় সামাল দিতে মহল্লাবাসীদের পরিস্থিতি বিপাকে। তারা আরো বলেন, এত কিছুর পরেও আমারা বিরক্তিবোধ করছি না। বরং খুশি হয়েছি কারুন ওই পরিবারে শুধু ৩টি কন্যা সন্তান ছিল। আল্লাহর মেহেরবানীতে পরিবারটিতে ১টি ছেলে সন্তান এলো। সরেজমিনে দেখা গেছে, খাদিজার বাড়ি ও তার আশে-পাশের বাড়িসহ পুরো মহল্লা জুড়েই শুধু মানুষ আর মানুষ।
জানা যায়, তাড়াশ সদর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সৈনিক হাসমত আলীর ৩য় কন্যা খাদিজা খাতুন (সেতু) ঢাকায় একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করছেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্বেই একটি মহিলা হোস্টেলে। খাদিজা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে লজ্জায় কাউকে না বলে বিষটি গোপন রাখেন।
এদিকে সেতুর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ও গতিবিধি হোস্টেলে অবস্থানরত সহপাঠিদের সন্দেহ হলে সে এই বিষয়টি সবাইকে বলে দেয়। পরে সেতু বাড়িতে এসে তার মা’র কাছে ঘটনাটি বলে । তার মা বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে ঢাকার একটি বেসকারী ক্লিনিকে ডাক্তারকে দেখান।
এ বিষয়ে খাদিজার ভগ্নীপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকায় ডাক্তারকে দেখানোর পরে খাদিজার পুরুষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তর হলে খাদিজা খুশি হয়ে নিজের নাম রেখেছেন সাহুল সিদ্দিক।