স্টাফ রিপোর্টার
‘দুদক একটা আয়না, কোথায় কি দুর্নীতি হচ্ছে তা আমাদের সবকিছু জানা, আমরা কাউকে লজ্জা দিতে চাই না। সরকারি চাকুরিজীবীরা আপনাদের নিয়ে আর গণশুনানি করতে চাই না। আপনারা সরকারি নিয়ম নীতি মেনে চাকুরী করেন। আপনাদের চাকুরী কে নষ্ট করে আমি দেখবো। আপনারা সমস্যায় পড়লে আমার কাছে আসবেন আমি দেখবো। এরপরও যদি শুনি আপনারা সুধরাননি তখন আপনাদেরকে মাঠে এনে গণশুনানির ব্যবস্থা করা হবে’। বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় যশোর সার্কিট সভাকক্ষে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: ফারুক হোসেন সভাপতিত্বে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা এবং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দুর্নীতি দমন কমিশন এর চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে দুর্নীতিবাজদের ধরে জেলে পাঠায়। এতে আমার নিজেরও খারাপ লাগে। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে ভালবেসে দুর্নীতির পথ থেকে বেরিয়ে আসুন, বাংলাদেশকে সুখি সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করুন।
পরে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা নড়াইল জেলার দুপ্রক সদস্যদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। খুলনা বিভাগে দুর্নীতি প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায় প্রথম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, ২য় খুলনার রুপসা, ৩য় সাতক্ষিরার কলারুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের দুদকের পরিচালক ড. মো. আবুল হাছান, যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান প্রমুখ।
নড়াইল জেলার পুরস্কার গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি মো: মনিরুজ্জামান মল্লিক, সহ-সভাপতি ম. শফিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান, সদস্য সৈয়দ মাহাবুব আলী, মলয় কান্তি নন্দী, মো: আব্দুস সাত্তার, মাসুদুল হক টুটুল, স্বপ্না রায়, সৌরভ ব্যানার্জী, দিথী খানম।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা ও ৫০টি উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সমূহ দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বিষয়ে যে সকল কার্যক্রম করেছিলেন সেই সকল কার্যক্রম মূল্যায়ণ করে জেলা পর্যায় নড়াইল জেলাকে শ্রেষ্ঠ, উপজেলা পর্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরকে প্রথম, খুলনার রুপসাকে ২য় এবং সাতক্ষীরার কলারুয়াকে ৩য় হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।