স্টাফ রিপোর্টার
গরুর হাট ইজারা নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গায় প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হয়। রবিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা এলাকায় বাংলা নতুন বছরে (১৪২৫ বঙ্গাব্দ) গরুর হাট ইজারা দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর শেখ ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সেলিম সিকদার গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। রবিবার বাংলা নববর্ষের প্রথম হাট বসলে হাফিজুর শেখের লোকজন দুপুরে হাটে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেলিম সিকদারের লোকজন বাঁধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রসহ লাঠি ও ঢাল সড়কি দিয়ে হাফিজুর শেখের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় এবং পহরডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত আ’লীগ ও যুবলীগ কার্যালয় এবং পাশের চায়ের দোকানসহ একটি মুদি ও মিষ্টির দোকান ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন-পহরডাঙ্গা গ্রামের বরকত সিকদার (৩৫), আরজ শেখ (৪০), রায়হান শেখ (১৮), পলাশ সিকদার (৩০), হাসমত শেখ (৩৫), মুরসার্লিন সিকদার (২৫), সাবেক ইউপি মেম্বার শওকত মল্লিক (৪৭), বাবুল শেখ (৩০), মিরাজ শেখ (৩৫), নাহিদ সিকদার (৩৫), খোকা সিকদারসহ (৫৫) অন্তত ১৫জন। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান শেখ, তার বড় ভাই হাফিজুর শেখ, হাসিবুর রহমানের তিনটি বাড়িঘরসহ ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি হাসমত শেখের বাড়ি, আকাশ সিকদার এবং নিয়ামত সিকদারের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আ’লীগ নেতা হাফিজুর শেখ বলেন, রবিবার দুপুরে গরুর হাটে ঢুকতে গেলে সেলিম সিকদারের নেতৃত্বে তার লোকজন ধারালো অস্ত্রসহ ঢাল সকড়ি নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১৫জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থরা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সেলিম সিকদার বলেন, হাফিজুর শেখের লোকজনই গরুর হাট দখলের চেষ্টা চালায়। আমাদের ওপর হামলা করে। তিনি আ’লীগ কার্যালয়, দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে নড়াগাতি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, গরুর হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে রবিবার কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।