নিজস্ব প্রতিবেদক
অদম্য সাহস আর মনোবল না থাকলে একা একা বাই সাইকেলে চড়ে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা সহজ কোন কাজ নয়। তেমনই এক অসাধ্য সাধনের প্রত্যয় নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাঁচামাল ব্যাবসায়ী আহসান হাবিব নবীন।
কোন ঢাকঢোল না পিটিয়ে বাবার ব্যাবহার করা পুরনো একটি বাই সাইকেলে চড়ে পকেটে নগদ ৩,১৫০ টাকা নিয়ে গত ২ এপ্রিল সকাল ১১ টায় নিজ আবাস ভুমি থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন। ঘরে রেখে এসেছেন সারে তিন বছরের শিশু কন্যা মুনতাহা মীম ও স্ত্রী মুসলেমা আক্তার চম্পা, তাদের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় ভ্রমণের বিরতি দেন। তাকে দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক উৎসাহী জনতা ভীড় করে। পরে আহসান হাবিব নবীনকে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শাহজাদপুর শাখার পক্ষ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরে স্থানীয় এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদের সাথে সাক্ষাত করেন। এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে তার সাইকেল ভ্রমণ বিষয়ে মতো বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আজ সকালে ইব্রাহিম মডেল প্রাইমারি স্কুলে উপজেলার প্রাইমারি শিক্ষকদের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি পাবনায় প্রবেশ করবেন, এর মাধ্যমে তার উত্তরাঞ্চল ভ্রমণ শেষ হবে।
আহসান হাবিব নবীন (২৯) ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল পৌর শহরের মধ্য ভান্ডারা রংপুরিয়া মার্কেট এলাকার মোঃ আইনুল হকের ৪ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়, পেশায় ক্ষুদ্র কাঁচামাল বিক্রেতা।
আহসান হাবিব নবীন জানান, বেশ কিছুদিন যাবত তিনি দেশটাকে ভালভাবে জানতে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সৌন্দর্য নিজের মতো করে দেখার ইচ্ছা থেকেই তার পরিকল্পনার শুরু। এতে করে তার জ্ঞানের পরিধির বিস্তার ঘটবে এবং দেশ সম্মন্ধে তার বাস্থব অভিজ্ঞতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌছে দেবে।
যাত্রা পথে কোন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়নি বরঞ্চ মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ । সবার ভালবাসা ও সহযোগিতা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে আরো উৎসাহী করেছে।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, আপনার দেশ ভ্রমনের জন্য কি কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে সহযোগিতা করেছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন কোন প্রতিষ্ঠান আমাকে কোন ধরণের সহযোগিতা করেনি, আর আমি প্রচারের এই জন্য এই দেশ ভ্রমণে বের হইনি তাই আমি কারো সহযোগিতার আশাও করিনা। আমি শুধু প্রিয় মাতৃভূমির সৌন্দর্য নিজের মতো করে উপভোগ ও জ্ঞান অর্জনের জন্য বের হয়েছি।