নিউজ ডেস্ক
বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের রানাপ্লাজা ভবন ধস। ঠিক পাঁচ বছর আগের এই দিনে সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানাপ্লাজা ভবন ধসে একহাজারেরও বেশি শ্রমিক নিহত হন, আহত হন দু’হাজারেরও বেশি মানুষ। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, রানা প্লাজা ভবন ধস দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৩২৫ জন ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ২৬১ কোটি টাকা ৮৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২৩ কোটি ৪৮ লাখ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এবং ট্রাস্ট ফান্ড প্রাইমার্ক থেকে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বাসস সূত্রে জানা যায়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন জানান, সরকার রানা প্লাজায় নিহত ও আহতসহ ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবার ও পরিজনদেরকে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমদ বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬৩২৫ জনকে ৩৪ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে ৪৩৫ জনকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩৫ জনকে স্বাবলম্বী করতে প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে পুঁজি দেয়া হয়েছে। আরও ১৪৫ জনকে দ্বিতীয় মেয়াদে ৫০ হাজার টাকা করে পুঁজি দেয়া হয়েছে।
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে ১ হাজার ১৩৫/১৭৫ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়ে। ২ হাজার ৪৩২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। আহতদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন। আবার অনেকে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
(সূত্রঃ বাসস)