স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামে ৫ বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদলের সদস্য মুখোশ পরে গ্রামের জালাল শরীফ, ইব্রাহিম শরীফ, আসাদ শরীফ, আরিফ শরীফ ও আতাউর কাজীর বাড়িতে ডাকাতি করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, মুখোশধারী ডাকাতদের হাতে আগ্নোয়াস্ত্র ছিল। তারা বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা, সোনার গহনা, মুঠোফোনসহ সবস্ব লুট করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লোহাগড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে । তদন্ত চলছে। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামের জালাল শরীফের (৮০) স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, রাত ১টার দিকে বারান্দার গ্রিল ভাঙার শব্দ শুনে আমি ঘরের দরজা খুলে বের হই। ৫ থেকে ৭ জন আমার বুকে বন্দুক এবং গলায় ছোড়া ধরে । সবার মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল । আমার অসুস্থ্য স্বামীকে তারা মারধর করে। আমাদের সবাইকে পাশের ঘরে নিয়ে শাড়ী কাপড়, দড়ি দিয়ে বেধে রাখে। আলমারির চাবি নিয়ে ৪ ভড়ি সোনার গহনা, নগদ ৩৫ হাজার টাকা, দুইটি মুঠোফোন লুট করে।
ইব্রাহিম শরীফের মা আমেনা বেগম বলেন, আমার ঘর থেকে আধা ভড়ি সোনার গহনা, ৫টি মুঠোফোন, ওয়ালটন টিভি নিয়ে গেছে। আরিফ শরীফ বলেন, প্রতিবেশিদের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হলে ১০ থেকে ১২ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল আমাকে ঘিরে ফেলে মারধর করে। একজন বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং আরেকজন গলায় ছোড়া ধরে বলে “চেচামেচি করবি না। চুপ থাক”। কয়েকজন ঘরে ঢুকে সব কিছু নিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, আমাদের পাচটি পরিবারের প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে।
আতাউর কাজীর স্ত্রী আনজিরা বেগম বলেন, আমার ঘর থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, কানের দুল, মুঠোফোন নিয়ে যায়। আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, “তোর স্বামী বিদেশে থাকে মাসে ১০ হাজার করে টাকা দিবি। আমরা না আসলে কুকুর পাঠালে তার গলায় টাকা বেধে দিবি । নইলে খবর আছে”।