ডেস্ক রিপোর্ট
কিউবার রাষ্ট্রায়াত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা কিউবানার একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ শতাধিক আরোহী নিয়ে হাভানার হোসে মার্তি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৬ ক্রু-সহ ১১০ জন যাত্রি ছিলো। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০৭ জনের প্রাণহানির মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এই দুর্ঘটনায় দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ভোর ৬টা (স্থানীয় সময়) থেকে রোববার মধ্য রাত পর্যন্ত শোক পালন করা হবে। কমিউনিস্ট পার্টি নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রো বলেছেন, দেশব্যাপী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
দুর্ঘটনাস্থলের আগুন নিভিয়ে ফেলার পর উদ্ধারকর্মীরা নিহতদের লাশ সনাক্তে কাজ শুরু করেছেন। কি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা নিয়েও তদন্ত চলছে।
২৬ বছরের পুরনো বোয়িং ৭৩৭-৪০০ উড়োজাহাজটি মেক্সিকোর দামোজের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিল কিউবানা। দুর্ঘটনা বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মেক্সিকান কোম্পানিটির মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিছু বলতে অস্বীকৃতি কিউবানাও।
কিউবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ রুটের ওই ফ্লাইটটি রাজধানী হাভানা থেকে পূর্ব অংশের ওলগিনে যাচ্ছিল। তুলনাহীন বেশ কয়েকটি সমুদ্রসৈকতের জন্য প্রাদেশিক রাজধানী ওলগিন পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৮ মিনিটে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর এবং সান্তিয়াগো দে লাস ভেগাস শহরের মাঝামাঝি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
নিহতদের মধ্যে আর্জেন্টিনার দুই ও মেক্সিকোর বেশ কজন নাগরিক আছেন বলে দেশ দুটির সরকার নিশ্চিত করেছে। দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনজনই নারী বলে জানিয়েছেন হাভানার ক্যালিক্সটো গার্সিয়া হাসপাতালের পরিচালক কার্লোস আলবার্তো মার্টিনেজ। বিমান বিধ্বস্তের পরপরই হাভানার হোসে মার্তি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন; বিপুল সংখ্যক পুলিশ এলাকা ঘিরে রাখে।
Pic: AFP