স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে চরম অশোভন আচরণের দায়ে ওই মাদরাসার আরবি বিভাগের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে শো’কজ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
ইতোপূর্বেও বহুল আলোচিত সমালোচিত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারির অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক এক নেতার বার বার হস্তক্ষেপে সেসব অপরাধ করেও প্রতি বারই বেঁচে যান তিনি। এছাড়া ইতিপূর্বে নারী কেলেংকারীর দায়ে মাওলানা কুদ্দুুসের পীর খেলাফতিও চলে যায়।
চলতি মাসের ১২ তারিখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এ ঘটনার কারণ দর্শাতে বললেও সংশ্লিষ্টরা মুখ না খোলায় শিক্ষক কুদ্দুস এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত জবাব দাখিল করেছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, সম্প্রতি পোতাজিয়া ইউনিয়নের পোতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির জনৈক ছাত্রীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার ও অশোভন আচরণ করলে ওই ছাত্রী তার পিতাকে বিষয়টি জানিয়ে দেয় এবং সে আর ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করবে না বলেও পিতাকে জানায়।
তার পিতা বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দাখিল করলে মাওলানা কুদ্দুসকে শো’কজ করা হয়। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,‘নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী আমার কাছে এসে টিসি চেয়েছিলো। ওই ছাত্রীর হাতে থাকা একটি আম মাওলানা কুদ্দুুস কেড়ে নিয়ে খায় এবং এঁটে আঠিটি ছাত্রীকে খেতে বলে।’
এ বিষয়ে মাদ্রাসার দাতা সদস্য স্থানীয় কৃষকলীগ নেতা আলহাজ্ব আলমগীর জাহান বাচ্চু বলেন, ‘ঘটনার দিন তিনি ছিলেন না। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।’ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। অপরদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান, একজন শিক্ষক হয়ে ছাত্রীর সাথে অশোভন আচরণ কোনভাবেই কাম্য ও ক্ষমার যোগ্য নয়। ঘটনার সত্যতা পেলে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’