নিউজ ডেস্ক/এসকেবি
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে মিয়ানমার সেনা সদস্য দ্বারা নির্যাতিত হওয়া নারীদের যন্ত্রণা। সম্প্রতি আলযাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতিদিন গড়ে ৬০ জন শিশু জন্মগ্রহণ করছে।
বিগত ৯ মাস ধরে চলা মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের দরুন মুসলিম রোহিঙ্গা নারীদের উপর শারীরিক নির্যাতন করে সে দেশের সেনা সদস্যরা। এর ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা নারীদের এই দুর্দশা মিয়ানমার সেনাদের বর্বরতার প্রমাণ বলে অবিহিত করেন রোহিঙ্গা শিবিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়প্রাপ্ত এক রোহিঙ্গা নারী তার সাথে ঘটে যাওয়া বর্বরতা অশ্রুসিক্ত চোখে ব্যক্ত করেন এইভাবে, “তিনজন অস্ত্রধারী মিয়ানমার সেনা আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে অমানবিক নির্যাতন করে।”
এইদিকে অসংখ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও গত বছরের নভেম্বর মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে নির্যাতনের এই সকল অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করা হয়।
শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়প্রাপ্ত যহুরা বেগম নামের এক কিশোরী বলে, “মিয়ানমার সেনারা আমাদের গ্রাম জিম্মী করে ফেলে। পরে পুরুষদের আলাদা করে নিয়ে মেরে ফেলে এবং নারীদের মধ্যে যুবতী ও সুন্দরীদের বেছে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় ও ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দেয়।”
রোহিঙ্গা নির্যাতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আসন্ন দিনগুলোতে হয়তো শরণার্থী শিবিরে পর্যাপ্ত খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে অনেক নবজাতকের প্রাণহানী ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
শরণার্থী শিবিরে কর্তব্যরত ডাক্তার মারসেলা ক্যারে বলেন, “ এই রকম বিস্তর শরণার্থী শিবিরে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা আমার মতে প্রায় অসম্ভব।”