নড়াইলে অ্যাডভোকেটের কন্যা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ৮দিন ধরে নিখোঁজ

61
983

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে অ্যাডভোকেট মৃদুল কান্তি রায়ের কন্যা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সেজুতী ৮দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। বাদীর অভিযোগ পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করে সাধারণ কয়েকজনকে আটক করে পরে অর্থের বিমিময়ে ছেড়ে দিয়েছে। মেয়েকে উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ তেমন আন্তরিক নয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের সিঙ্গা গ্রামের হবি শেখের পূত্র ভারতে নারী পাচারের সাথে জড়িত বিবাহিত নয়ন শেখ (৩২)সহ কয়েকজন গত ২০ মে বেলা ১১টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে মটরসাইকেলে অপহরণ করে যশোরের নওয়াড়ার দিকে নিয়ে যায়। পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর দিন ২১মে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় নয়ন শেখসহ ৪/৫জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা অ্যাডভোকেট মৃদুল কান্তি রায় বলেন, ঘটনার দিন পেশাগত কাজে নড়াইল কোর্টে ছিলাম। সেজুতীর মা বাড়িতে ছিল না। নয়ন শেখের ৩টি স্ত্রী রয়েছে। এর স্ত্রী বোম্বে থাকে। নয়ন ভারতে নারী পাচারের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে নড়াইল থানায় মামলাও রয়েছে। ঘটনার দিন সে তার বাড়ির সামনে থেকে বেলা ১১টার দিকে নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে বা ট্রাফ করে অপহরণ করেছে। তার আশংকা নয়ন মেয়ের শ্লীলতাহানী করে ভারতে পাচার করে দিয়েছে। অ্যাডভোকেটের অভিযোগ, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেয়ের প্রেমের নাটক সাজাচ্ছে এবং ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দোষীদের গ্রেফতার না করে নির্দোষ কয়েকজনকে আটক করে পরে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ আন্তরিক হলে তার মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হবে।

সদর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, সেজুতীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আসামি নয়ন পলাতক রয়েছে। বাদির অভিযোগ অস্বীকার করে বলে বলেন, নয়নের সঠিক অবস্থান জানা এবং গ্রেফতারের জন্য কাওকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কিন্তু কাওকে হয়রানি করা বা অর্থ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।