স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলে ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয়েছে নড়াইল পৌরসভার এক কর্মচারী। গ্রেফতারকৃত ওই কর্মচারীর নাম মাহমুদুল হাসান রানা (৩৮)। সে নড়াইল সদর উপজেলাধীন মহিষখোলা গ্রামের জাফর মোল্যার ছেলে এবং নড়াইল পৌরসভায় লাইসেন্স পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (৩০ মে) নড়াইল সদর থানার একটি চৌকশ টিম ফেনসিডিল সরবরাহের সময় রানাকে মহিষখোলা এলাকা থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় রানার কাছ থেকে দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা।
জানা যায়, নড়াইলের বর্তমান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম মাদকব্যবসায়ীদের সমূলে উৎপাটনের লক্ষে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বক্ষণ নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রানাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রানা ঘটনার সময়ে ফেনসিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে দুই বোতল ফেনসিডিল গোপনে নিজের সাথে রেখে সরবরাহ করার জন্য নিজ এলাকায় অপেক্ষা করছিল মর্মে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর নিকট একটি গোপন সংবাদ আসে।
ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলে তিনি নড়াইল সদর থানার এসআই খায়রুল, মাসুদ, এএসআই সিরাজসহ একটি চৌকশ টিমকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পাঠান। সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রানাকে তল্লাশি করে দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে চৌকশ টিমের সদস্যরা। রানা ফেনসিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে এনেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, রানাকে গ্রেফতারের পর নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং- ৫৩/১৮।
এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম বলেন, রানা দীর্ঘদিন ধরে মাদকব্যবসায় জড়িত থাকলেও পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ না থাকায় তাকে এতদিন যাবৎ গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার তাকে ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নড়াইল সদর থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম। নড়াইলবাসীকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বানও জানান পুলিশ সুপার। এছাড়াও মাদকব্যবসায়ীদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তার জন্য নড়াইলবাসীর সাহায্যও কামনা করেছেন নড়াইল পুলিশের এই উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত রানা দীর্ঘদিন ধরে মাদকব্যবসায়ের সাথে জড়িত। কিন্তু নড়াইল পৌরসভার কর্মচারী হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন মহলে সখ্যতা থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস পায়নি। এছাড়াও অত্যন্ত সুকৌশলে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করায় পুলিশও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ জোগাড় করতে পারছিল না। কিন্তু এবার পুলিশ সুপারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।