স্টাফ রিপোর্টার
জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুন) দুপুরে ‘মনিকা একাডেমি’র আয়োজনে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
মনিকা একাডেমির উপদেষ্টা চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার হায়দার আলী, আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক বেলাল সানী, নড়াইল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম পান্তু, চিত্রশিল্পী এস এম আলী আজগর, আবৃত্তিকর শেখজাদী নাঈমা জব্বারী, মনিকা একাডেমির উপদেষ্টা ফরহাদ খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নীহার রঞ্জন গুপ্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হলেও তিনি অবহেলিত। তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সরকারি ভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানেন না, নীহার রঞ্জন গুপ্ত কে? তিনি কি ছিলেন? এদিকে, মনিকা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সবুজ সুলতান নিহার রঞ্জন গুপ্তের ব্যাপারে পাঁচ দফা দাবী তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে-নীহার রঞ্জন গুপ্তকে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি দেয়া, নীহার রঞ্জনের উপন্যাসসহ অন্যান্য লেখা প্রকাশ করা ও কলেজ পর্যায়ে সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত, ইতনা গ্রামে জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন, নীহার রঞ্জনের প্রতিকৃতি স্থাপন এবং একুশে পদক প্রদান করা।
উল্লেখ্য, ১৯১১ সালের ৬ জুন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নীহার রঞ্জন গুপ্ত। বাবার নাম সত্যরঞ্জন গুপ্ত ও মায়ের নাম লবঙ্গলতা দেবী। নীহার রঞ্জন গুপ্ত গোয়েন্দা ও রহস্য কাহিনী লেখক হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি চিকিৎসক হিসেবেও স্বনামধন্য। নীহার রঞ্জন গুপ্তের উপন্যাসের সংখ্যা দুইশতেরও বেশি। এছাড়া তার অন্তত ৪৫টি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে ঔপন্যাসিক নীহার রঞ্জন গুপ্তের আপনজন কেউ নেই। পৈত্রিক বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় থাকার পর ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছে। তার পৈত্রিক ভিটায় রয়েছে দ্বিতল বাড়ি, পুকুরসহ গাছপালা।