অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ডের কাছে এবারও পারলো না অস্ট্রেলিয়া

9
13

ডেস্ক রিপোর্ট

অপ্রতিরোধ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসিদের দুটি সেঞ্চুরি, দুটি শতরানের জুটি। তিনশ ছাড়ানো স্কোর। লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেন অসহায় অস্ট্রেলিয়া। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে স্বাগতিকরা আরও একবার গুঁড়িয়ে দিল সফরকারীদের। চতুর্থ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৫ ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেছে ৪-০তে।

চেস্টার-লি-স্ট্রিটে চতুর্থ ওয়ানডেতে অ্যারন ফিঞ্চ ও শন মার্শের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৫০ ওভারে ৩১০ রান। এই মাঠে ওয়ানডেতে এটিই তখন সর্বোচ্চ স্কোর। পরের ইনিংসেই সেই রেকর্ড হয়ে গেল অতীত। জন্ম হলো নতুন রেকর্ডের। জেসন রয়ের সেঞ্চুরি আর জনি বেয়ারস্টোর ও জস বাটলারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড জিতল ৩২ বল বাকি রেখে।

রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে আবারও বিধ্বংসী শুরু এনে দেয় অসাধারণ ফর্মে থাকা উদ্বোধনী জুটি। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তুলোধুনো করে ১৪২ বলে ১৭৪ রানের জুটি গড়েন রয় ও বেয়ারস্টো। এই ইনিংসের পথেই উদ্বোধনী জুটিতে হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন দুজন মাত্র ১৬ ইনিংসেই। এর মধ্যে শতরানের জুটি ৫টি, অর্ধশত জুটি আরও ৪টি। রয় মাত্র ৮১ বলে করেন সেঞ্চুরি। তিন ম্যাচের মধ্যে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ। শেষ পর্যন্ত ৮৩ বলে ১২ চার এবং দুই ছক্কায় ১০১ রানে আউট হয় রয়।

অসাধারণ ফর্মে থাকা বেয়ারস্টো উইকেটের পেছনে ধরা পড়েছেন ৬৬ বলে ৭৯ রান করে। এরপর জো রুট ও ওয়েন মর্গান দারুণ শুরু করেও কাজ শেষ করে আসতে পারেননি। এই দুজনকে আউট করে অ্যাশটন অ্যাগার চেষ্টা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার আশা জাগানোর।

সেই আশা খুন হয়েছে বাটলারের ব্যাটে। ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসে ৩২ বল হাতে রেখি ৬ উইকেটে জয় পায় স্বাগতিকরা।

শেষটা বিবর্ণ হলেও ম্যাচের শুরুটায় অস্ট্রেলিয়া ছিল উজ্জ্বল। টস জয়ী দলটির হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে ফেরেন অ্যারন ফিঞ্চ। ট্রাভিস হেডকে গড়েন ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। বেশি আগ্রাসী ছিলেন হেড। ৪৩ বলে যখন স্পর্শ করেন ফিফটি। ৬৩ রান করে আগে আউটও হন হেড।

দ্বিতীয় উইকেটে আরও এটি দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ফিঞ্চ ও শন মার্শ। ১২০ বলে ১২৪ রান যোগ করেন দুজন। ফিঞ্চ ফিফটি করেছিলেন ৬৫ বলে। পরের ফিফটিতে লেগেছে ৪০ বল। ওয়ানডেতে এটি তার ১১তম সেঞ্চুরি, ৬টিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

মার্শের ইনিংসও এগিয়েছে একই গতিতে। পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন ৬২ বলে। কিন্তু সেঞ্চুরি করে ফেলেন ৯১ বলেই। তিন ম্যাচের মধ্যে মার্শের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম। দারুণ ভিত থাকার পরও শেষ দিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে খানিকটা কমে যায় অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি। ঠিক ১০০ রানেই আউট হন ফিঞ্চ। ৯২ বলে ১০১ রান করা মার্শের উইকেটসহ এক এভারে তিন শিকার করেন ডেভিড উইলি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩১০/৮ (ফিঞ্চ ১০০, হেড ৬৩, মার্শ ১০১; উড ২/৪৯, উইলি ৪/৪৩, রশিদ ২/৭৩)।

ইংল্যান্ড: ৪৪.৪ ওভারে ৩১৪/৪ (রয় ১০১, বেয়ারস্টো ৭৯, হেলস ৩৪*, বাটলার ৫৪*; লায়ন ১/৩৮, অ্যাগার ২/৪৮)।

ফল: ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ৪-০তে এগিয়ে

ম্যাচ সেরা: জেসন রয়।

Pic: Reuters