ডেস্ক রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. চোপ লাল ভূশাল আজ (রোববার)তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপাল এবং ভূটানের সঙ্গে কানেকটিভিটিজোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং মালামাল পরিবহন ও ট্রানজিট হিসেবে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে ব্যবহার করতে দেয়ার প্রস্তাবও পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান সৌহাদ্যপূর্ণ এবং ঐতিহ্যগত সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেপালের সহযোগিতার কথা বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রের জোগানদানের বিষয়টি স্মরণ করেন বলেও প্রেস সচিব উল্লেখ করেন।
কানেকটিভিটি জোরদারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভূটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ অধিক গুরুত্বারোপ করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, নেপালের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাঁর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সংসদ সদস্যদের মধ্যে এখন ৩৪ শতাংশই নারী সদস্য এবং স্থানীয় সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব প্রায় ৪০ শতাংশ। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৩ হাজার নেপালি শিক্ষার্থী এখন বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে, বলেন তিনি।
নেপালের রাষ্ট্রদূত এ সময় তাঁর দেশের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে ২০১৫ সালের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের প্রদত্ত খাদ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা গড়ে ওঠার সম্ভবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, নেপালের ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরীর জন্য সংলাপ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্যও নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।