নিউজ ডেস্ক
কোটা আন্দোলনের নামে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের পাঁয়তারা করছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের মিত্র যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী জানান, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে দেশের শান্তি ও উন্নয়ন ব্যাহত হয়। চাকরিতে কোটা আন্দোলনের নামে একটি মহল দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়ে কোটা বাতিলের কথা বলেছেন। কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা বাতিলে সময় লাগবে। এটাকে পুঁজি করে একটি মহল দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টের পাঁয়তারা করছে।’
এদিকে পুলিশের করা শাহবাগ থানায় করা পৃথক দুটি তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক হোসেনসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্যই পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে নেতারা জানিয়েছে, তাদের আন্দোলনের টাকা আসতো বিকাশ ও রকেট একাউন্টে। প্রায় ২০ টির অধিক একাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যায়, আন্দোলনের সকল ব্যয়ভার বহন করছে বিএনপি ও ক্যাডার নিয়োগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। শিবির ক্যাডাররা আন্দোলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তারা আগাতে পারেনি।
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক ধরনের স্বার্থান্বেষী পক্ষ তাদের কার্য হাসিল করার জন্য আন্দোলনকারীদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে আন্দোলনের ফলে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিএনপি জামায়াতের মদদে চলা কোটা আন্দোলনের সাথে তারা আর নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর আমাদের পূর্ন্য আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তিনি যখন বলেছেন তাহলে সংস্কার অবশ্যই হবে। আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা কোন বিশেষ দলের আন্দোলনের সাথে নেই। এদিকে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটিতে ছয়জন সচিবকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।