স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল লাহড়ী মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী ও উধুনিয়া ইউনিয়নের নদী ও বিলের পানিতে নৌ ভ্রমণ নামে চলছে পিকনিক আর বিনোদনের নামে নগ্ননৃত্য।
দিনভর ভাড়া করা এ সকল নৌকায় মাইক ও সাউন্ডবক্স লাগিয়ে এ সকল উঠতি বয়সী যুবকরা মাঝ বয়সী নারীদের নিয়ে চলছে বেহায়াপানা ও নাচগানের সাথে চলছে নেশা। নৌকার মধ্যে এক শ্রেণীর লোক নর্তকীদের উলঙ্গনাচ ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে । নৌকায় পতিতাবৃত্তি চালিয়ে উঠতি বয়সী যুবকদের বিপথগামী করছে নারী ব্যবসায়ীরা। নারী লোভে ও নেশার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে উঠতি বয়সী যুবকরা করছে বিভিন্ন
অপরাধ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চলে এই পিকনিকের নামে বাণিজ্য। এই চিন্হিত দালালদের পিছুনে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়া থাকায় সব ম্যানজ করে চলে পিকনিকের বাণিজ্য। এই দালালরা দুই ভাবে নারী ভাড়া দিয়ে থাকে পিকনিকে ও গভীর রাতে পতিতা নিয়ে নৌকায় তুলে ব্যবসা করে। এই পিকনিকের নৌকাকে এলাকায় “প্রমোদতরী” নামে পরচিতি।
তারা বলেন লাহিড়ী মোহনপুরের ইউনিয়নের চৌকিদার খোরশেদ এবং বড়পাঙ্গাসী বাজারের রুহুল ডেকোরেটর নামে পরিচিত এই দুইজন নারী ব্যবসার মুলহোতা এলাকায়। এই খোরশেদ দালাল গভীর রাতে যুবক ছেলেদের কাছে নারী ভাড়া দিয়ে দেহ ব্যবসা করে থাকে। এই দালালরা নারী নর্তকীদের বিভিন্ন জায়গায় বাসাভাড়া করে রাখে। তার মধ্যে উল্লেখ্য লাহিড়ী মোহনপুর ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কিছু বাসাবাড়ীতে। চৌকিদার হয়ে এমন হীন কাজ করে কিভাবে এবং তার খুটির জোর কথায় অনেকের মনে প্রশ্ন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিদিনই দহুকুলা হাট ,মোহনপুর ত্রিমোহনী ব্রীজ, বড়পাঙ্গাসী বাজার, উধুনিয়া বড় ব্রীজ ,ঘয়হাট্টা বাজার হতে পিকনিক অথবা বিনোদন ভ্রমণের নামে নৌকা এবং নর্তকী ও দেহপ্রসারণী ভাড়া দেয়। এইসব নারী দালালরা মূলত লাহিড়ী মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী, তালগাছি, দবিরগঞ্জসহ
চারটি স্থান থেকে নর্তকী ও দেহ প্রসারণী সরবারাহ করে থাকে। এ সব দালালরা নর্তকী এবং দেহ প্রসারণীদের দুইভাবে ভাড়া দিয়ে থাকে, নর্তকী প্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা ভাড়া দেয় যাদের কাজ নাচগানের সাথে দৈহিক মেলামেশা করা। এইসব নারী দালালদের যুবক ও স্কুলগামী ছাত্রসমাজকে ধ্বংস করার মুল টার্গেট বলে অনেকেই মনে করেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান এই প্রতিনিধিকে বলেন, পিকনিকের নৌকায় নাচগানের সাথে অসামাজিক কাজ চলছে আমি শুনেছি । এই পিকনিকের অসামাজিক কার্যকালাপ সবার সহযোগীতায় ও আইনের মাধ্যমে কঠোর ভাবে দমন করা হবে ।