ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় চলমান ছাত্র বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনে রাজধানীসহ বেশিরভাগ জেলায় চলছে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্দেশে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা সরাসরি ধর্মঘটের কথা স্বীকার করছেন না। তারা বলছেন, আন্দোলনরত ছাত্ররা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা বাস চালাচ্ছেন না।
গত ২৯ জুলাই ঢাকায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর হয়। সমালোচনার মুখে পড়েন পরিবহণ শ্রমিকদের নেতা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানও। আন্দোলনের চার দিনের দিন বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফেরার প্রত্যাশা প্রকাশের পরদিন বৃহস্পতিবার আংশিক এবং আজ শুক্রবার সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারন যাত্রিরা।
শুক্রবার সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান আগের কয়েক দিনের মতো নেই। এর মধ্যে পরিবহণ মালিক কিংবা শ্রমিক সংগঠনগুলোর কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধের কারণে সারাদেশে জনদুর্ভোগ চলছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রংপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বেনাপোলসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৯ জুলাই দুপুরে কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পর এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে নৌমন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান হাসতে হাসতে তার প্রতিক্রিয়া জানান। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পরদিন রাস্তায় নেমে আসেন রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকে নৌমন্ত্রীর ক্ষমা এবং ঘাতক চালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করে আসছেন। সরকারও সেই দাবিগুলো যৌক্তিক দাবি হিসাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করছে।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সামনে শনিবার থেকে বাস চলাচলের আশ্বাস দেশের সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের শীর্ষ সংগঠনের নেতা নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।