নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এলজিইডি’র একটি সড়ক পথ যেন হালচাষের উপযোগী হয়েছে। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। এলজিইডি’র আওতাভুক্ত সড়কটি এখন দুর্ভোগ আর দুর্দশায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ সড়ক পথটিতে কাঁদার মাঝেই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। কোন পরিবহন তো দুরের কথা খালি পায়ে চলতে গেলেও জুতা খুলে হাতে নিতে হয়।
এদিকে উল্লাপাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাতিল করা হয়েছিল বলে জানা যায়। উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নর নাগরহা বাজার থেকে পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নর ভংড়ীল বাজার পর্যন্ত। প্রায় ৩ হাজার ২শ মিটার কাঁচা সড়ক পথ। স্থানীয় উপজলা প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি) এর আইডিভুক্ত থাকলেও দেখার কেউ নেই বললেই চলে।
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়কটির আইডি নাম্বার ১৮৮৯৪৪১৭৮ এবং ঐ সড়কের কচুয়া নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান প্রকল্প দেয়া আছে বলে জানা যায়। এর আগে উল্লাপাড়া সদরের বিশ্বরোড থেকে নাগরহা বাজার হয়ে চড়ইমুড়ী বাজার পর্যন্ত ৩ হাজার ৩শ মিটার সড়ক পথ এলজিইডির আইডিভুক্ত।
২০১০ সালের দিকে সেই রোডের ১৮’শ মিটার সড়ক পথ পাকা করণ করা হয়। এদিকে গত মাস তিনেক আগে উপজলা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগ থেকে নাগরহা বাজারের পাকা মাথা থেকে বন্যাতলা ত্রিমাহনী পর্যন্ত। প্রায় ১৬’শ ফুট সড়ক বিশষ প্রকল্প সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও পরবর্তীত তা বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এ সড়কের নাগরহা গ্রামের মধ্যেপাড়ায় প্রায় ৫ শতাধিক লোক চরম ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বেশ কয়েক জায়গায় ভেঙ্গে গেছে এবং ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি কাদা তো আছেই। স্থানীয় প্রায় আরাইশত পরিবারের একমাত্র চলাপথ সেই রোড।
জনসাধারণকে কাদার মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় মো. সামছুল আলম, জয়নাল প্রামানিকসহ আরও অনেকে জানান, চলার পথে কোথাও কাদা ছাড়া শুকনো যায়গা নেই। আমাদের এ সড়কটা যেন হালচাষে পরিনত হয়েছে। এ পথ দিয়ে আমাদের চলাচল করতে কান্না আসে। তবুও উপায় না থাকায় চলতে হয়।
এব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান ভুইয়া বলেন, সড়কটিতে চলাচল করার অনুপযোগী। স্থানীয়দের দূভার্গ যে ঐ রাস্তার প্রায় ১৬’শ ফুট রাস্তা সংস্কারের কথা থাকলেও সেটা বাতিল হয়েছিল। কেন কাজটি বন্ধ করা হয়েছিল এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন,পরবর্তীতে রাস্তাটি সংস্কারের চিন্তা ভাবনা আছে।
উপজলা প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু রাস্তাটি আইডিভুক্ত করা আছে। অবশ্যই পাকাকরণ করা হবে। তবে তা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে মাত্র। বর্তমানে স্থানীয়দের দূভোগ কমাতে জরুলী অংশ গুলো সংস্কারের বিষয় গুরত্ব দেব।
এদিকে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, প্রকৌশলী বিভাগের সাথে আলোচনা করে দুর্ভোগ কমাতে প্রয়াজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।