স্টাফ রিপোর্টার
‘আল-আমিন নড়াইল’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে আইনজীবীদের সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ তথ্য-প্রযুক্তি আইনে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। এরা হলো-নড়াইল শহরের ভওয়াখালীর সুলতান সিকদারের ছেলে বিপ্লব সিকদার, একই এলাকার মিসকাতুল ওয়াজিন লিটু ও মহিষখোলার সৈয়দ শওকতের ছেলে সৈয়দ জিল্লু।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন তার ফেসবুক আইডি থেকে নড়াইলের কয়েকজন আইনজীবী সম্পর্কে অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করেন। তার ফেসবুক আইডিতে আইনজীবীদের একটি নিষিদ্ধ পেশার মানুষের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আল-আমিন ফেসবুকে আইডিতে লিখেছেন-‘প্রচলিত একটা কথা আছে যে, উকিল আর বেশ্যার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই; দুটোই টাকা পেলে কাজে লিপ্ত হয়।’ এ ধরণের মন্তব্য করায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নড়াইল জজ কোর্টের আইনজীবী কাজী বশিরুল হক বাদী হয়ে জেলার নড়াগাতি থানার গোবরাডাঙ্গার মুনছুর ফারাজির ছেলে আল-আমিনসহ বিপ্লব সিকদার, মিসকাতুল ওয়াজিন লিটু ও সৈয়দ জিল্লুর নামে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে গত চারদিনেও মামলা নথিভূক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইনজীবীরা। এ ব্যাপারে গত রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে জরুরি সভায় নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ গোলাম নবীর সভাপতিত্বে জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পরিতোষ কুমার বাগচী, অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, অ্যাডঃ ফজলুর রহমান জিন্নাহ, অ্যাডঃ হেমায়েত উল্লাহ হিরু, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডঃ এমদাদুল হক, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ বিশ্বজিত বিশ্বাস, অ্যাডঃ ওমর ফারুক ,অ্যাডঃ উত্তম কুমার ঘোষ, অ্যাডঃ কাজী বশিরুল হক প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মামলা নথিভূক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। এদিকে নড়াইল সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।