স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল পৌরসভার ডুমুরতলা গ্রামে পৌর কাউন্সিলরের বাড়িতে শালিসের জন্য ডেকে নিয়ে বাবা ও ছেলের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত বাবা মুন্সী লিয়াকত হোসেন ওরফে মন্নু মুন্সী (৫৫) ও ছেলে আছিব মাহমুদ লিখনকে (১৯) নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবা মন্নু মুন্সী নড়াইল পৌর কৃষকলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আহত মন্নু মুন্সী জানান, তার এক ভাইয়ের মেয়েকে ৫মাস একই গ্রামের বিজিবিতে কর্মরত আফসার শেখের ছেলে রাজিবুলের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের যাচ্ছিলো না। কিছুদিন আগে তাদের জামাই রাজিবুল একটি ভূয়া ডিভোর্স পেপার মেয়ের বাড়িতে পাঠায়। ওই ডিভোর্স পেপারে মেয়ের কোন সহি ছিল না। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে একটি যৌতুকের মামলা ও দেনমোহরের মামলা দায়ের করেন। মামলার নোটিশ ছেলে পক্ষ পাওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকী ধামকি দিতে থাকেন।
বিষয়টি নিরসনের জন্য নড়াইল পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম বাচ্চু নিরসনের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকার ৮টার দিকে পৌর লিয়াকত হোসেন ওরফে মন্নু মুন্সী ও ছেলে আছিব মাহমুদ লিখন পৌর কাউন্সিলরের বাড়িতে যান। কিছুক্ষণপর ছেলেপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর সাইফুল আলম বাচ্চু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।