স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ জাকাত আলী কর্মস্থলে যোগদান না করায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৯জন দুই মাস এবং উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের ৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারি এক মাস বেতন পাচ্ছেন না। ফলে এসব প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর সরকারি এক আদেশে গাইবান্ধা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ জাকাত আলীকে নড়াইল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয় এবং নড়াইলের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর ইকবাল মাহমুদকে ঝিনাইদহ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বদলি করা হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মহাপরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ আঃ হামিদ খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে মোঃ জাকাত আলীকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থানান্তরিত কর্মস্থল নড়াইল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় তিনি ২৮ তারিখ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। নড়াইল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর ইকবাল মাহমুদ ঝিনাইদহে যোগদান করলেও গাইবান্ধা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ জাকাত আলী নড়াইলে যোগদান করেননি।
যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিস সূত্রে জানা গেছে, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৯জন ( ১ জন সহকারী প্রশিক্ষক, ১ জন প্রধান সহকারী, ১জন ক্যাশিয়ার, ১জন অফিস সহকারী, ১জন অফিস সহায়ক, ২জন পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ২জন বাবুর্চী ) দুই মাস এবং উপ-পরিচালকের কার্যালয় শাখার ৮জন ( দ্বিতীয় শ্রেণির ৪জন, তৃতীয় শ্রেণির ২জন এবং ৪র্থ শ্রেণির ২জন) প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারি এক মাস বেতন পাচ্ছেন না। কারন ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর বিল সিটে স্বাক্ষর না করলে ব্যাংক থেকে তাদের তোলা সম্ভব নয়।
নড়াইল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক এ এম সাইফুল আনাম প্রতিনিধিকে বলেন, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারি বেতন পাচ্ছেন না তারা সরকারের থোক বরাদ্দ থেকে বেতন পেয়ে থাকেন। নতুন অফিসার না আসায় তারা বেতন তুলতে পারছেন না। ঢাকায় একটি অফিসিয়াল কাজে এসেছি। এখানে ডেপুটি কো-অর্ডিনেটরের নড়াইলে যোগদানের ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শুনেছি নতুন এ কর্মকর্তা ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করে কর্মস্থলে যোগদান করবেন।