স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর গ্রামে অঞ্জনা নামে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এদিকে শুক্রবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জানাগেছে, জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরুশুনা গ্রামের শফিজ উদ্দিন ফকিরের মেয়ে অঞ্জনা বেগমের ৫ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার শালনগর গ্রামের আতাউর রহমান শিশিরের সাথে। তাদের ঘরে আমিন নামে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্বামী শিশির সম্প্রতি তার খালাতে বোনের মেয়ের (ভাগ্নি) সাথে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলে আসছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রী অঞ্জনার ওপর মাঝে মধ্যে প্রায় নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
অঞ্জনার ভাই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ বৃহস্পতিবার সকালে অঞ্জনার স্বামী শিশির ফোনে জানায়, যে অঞ্জনা খুব অসুস্থ্য। আপনারা সবাই দেখে যান। এ খবর পাওয়ার পর আমরা অঞ্জনার শশুর বাড়ি গিয়ে অঞ্জনার মৃতদহে দেখতে পাই। তখন ওই বাড়িতে অঞ্জনার স্বামী শিশিরসহ অন্যান্য সদস্যরা পলাতক ছিল। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনার সঠিক তদন্তসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিচার চাই।’
লোহাগড়া থানার সেকেন্ড অফিসার নূরুস সালাম সিদ্দিকী জানান, খবর পাওয়ার পর ওই বাড়িতে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটনের জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।