কালিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনার ইউপি সদস্যসহ শতাধিক লোককে আসামী করে মামলা

5
52

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতিতে দু’জনকে গুলি করে হত্যা ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ইউপি সদস্য ইলিয়াছ আহম্মেদসহ শতাধিক লোককে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত ইমান আলীর ভাগ্নে জসিম মোল্যা বাদি হয়ে ঘটনার পাঁচদিন পর সোমবার রাতে নড়াগাতি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ এর আগে ৮ জনকে আটক করাসহ ঘটনাস্থল থেকে ৪ টি শর্টগানের গুলির খোষা উদ্ধার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন কর হয়েছে।

গত ৫ দিনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে কান্দুরী গ্রামের আব্দুর রব মোল্যা (৪০), জাহাঙ্গীর মোল্যা (৩২), টুটুল মোল্যা (৩৫), হাসিদুল মোল্যা (২৮),বেলায়েত মোল্যা (৪২), আব্দুল্লাহ মোল্যা (৪৪), শাহজাহান মোল্যাকে (৬৫) লোহারগাতি গ্রামের এখলাছ তালুকদাকে (৩৪) আটক করেছে। ঘটনার ৫ দিন পর ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় দল নেতা কলাবাড়িয়া ইউপির সদস্য মো. ইলিয়াছ আহম্মেদসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ পুর্বক ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নড়াগাতি থানার ওসি মো.আলঙ্গীর কবির বলেন,‘বাদি পক্ষের অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব হওয়ায় মামলা দায়েরে সময়ক্ষেপন হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের কান্দুরী গ্রামে গত ৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে অলিয়ার গ্রুপের সমর্থক ইমান আলী মোল্যা (৩৮) ও রুকু মোল্যাসহ (৩৫) ৭-৮ জন তাদের নিজস্ব জমির ধান কাটতে রুকুর বাড়ির পাশের একটি জমিতে গেলে ইলিয়াছ গ্রুপের লোকজন শর্ট গান দিয়ে গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে। গুলিতে ইমান আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। রুকুকে মুমুর্ষূ অবস্থায় কালিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।