স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরসুচাইল গ্রামে ভূমিদস্যুতার অভিযোগে আশরাফ শেখের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ভূক্তভোগী শাহাদত সরদার।
লোহাগড়ার পাংখারচর গ্রামের ইমান আলী সরদারের ছেলে শাহাদত বলেন, আমাদের পাশের চরসুচাইল গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আশরাফ শেখ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন মানুষের কৃষি জমি জবর-দখল করে আসছেন। তার অপকর্মের বাঁধা দেয়ায় এলাকার অনেকের নামে মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া প্রায় পাঁচ বছর আগে পাংখারচর গ্রামের বাচ্চু শেখের মেয়ের কাছ থেকে ৪৬ শতাংশ জমি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে আশরাফ শেখের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গ্রাম্য সালিশে কোনো সমাধান হয়নি। এদিকে চরসুচাইল গ্রামের টুকু ফকিরের কেনা জমি দাতার নাম পরিবর্তন করে আশরাফ জোরপূর্বক দখল করেছেন। অপরদিকে একই গ্রামের বিমল, পুলিন, প্রফুল্লসহ অনেক পরিবারের জমি জবর-দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মামলার ভয়সহ জীবননাশের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে আশরাফ শেখ।
পাংখারচর গ্রামের দৌলত শেখ বলেন, আশরাফের বাবা বাদশা মিয়ার কাছ থেকে এক একর ৮০ শতক জমি কিনলেও বাদশার পরিবার আমাদের ওই জমি বুঝিয়ে দেননি। এছাড়া ৪৫ বছর আগে একই গ্রামের কামাল অভিযুক্ত আশরাফদের কাছ থেকে প্রায় ৪৫শতক জমি কিনলেও এ জমি তাদের (কামাল) ভোগ-দখল করতে দেয়নি। চরসুচাইল গ্রামের আবু মিয়ার কয়েক একর জমি আশরাফ ও তার লোকজন অবৈধ ভাবে দখল করেছেন। আবু মিয়ার ছেলে ওলিয়ার রহমান এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে আশরাফ একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে আশরাফ শেখ যে জমিতে বসবাস করছেন, তার অনেকাংশ ওই গ্রামের পুলিনের বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইয়ূব শেখ, দৌলত শেখসহ ভূক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে আশরাফ শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। বরং অনেকেই আমার জমি দখল করেছে।