স্টাফ রিপোর্টার
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর সংসদীয় আসনের নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ডাঃ এমএ মতিনের ছেলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ এমএ মুহিত।
শাহজাদপুর উপজেলার সর্বত্র আঃলীগের প্রচার, প্রচারণা, ব্যানার, ফেষ্টুন, মাইকিং ও নির্বাচনী ক্যাম্পে এক উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিদিন শত শত মোটরসাইকেলে উপজেলার সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। বাদ যায়নি মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মীরাও, সারাদিন ঘরে ঘরে গিয়ে নারী ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছে ও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছে।
এদিকে সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ডঃ এমএ মুহিতের কর্মী সমর্থকদের মাঝে। সমস্ত উপজেলা জুড়ে ধানের শীষের পোষ্টার ব্যানার কিছুই চোখে পড়েনি। কোথাও নির্বাচনী কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। প্রথম দিকে দুই দিন ধানের শীষের প্রার্থীর পথসভার খবর পাওয়া গেলেও গ্রেফতার আতংকে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছে ।
ডঃ মুহিতের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি, বাড়ির কেয়ার টেকারও কথা বলতে পারবে না বলে জানায়। প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পরের দিন ধানের শীষের প্রার্থী ডঃ এমএ মুহিতের পৌর শহরের বাড়িতে আঃলীগের সমর্থকরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয় ও তিনটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এরপর ডঃ মুহিত আর পৌর শহরের বাড়িতে আসেনি। উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের শ্রীফলতা গ্রামের বাড়ি থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এখন তিনি কোথায় আছে তিনি জানেন না ।
এদিকে গতকাল শনিবার সিরাজগঞ্জ সদরে জেলা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ধানের শীষের প্রার্থী ডঃ এমএ মুহিত । সেখানে তিনি আঃলীগের প্রার্থী ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবি জানান ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন একজোট হয়ে নির্বাচনকে তামাশা ও প্রহসনে পরিণত করেছে। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন প্রচারণায় বাধা, বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যাতে করে ভোটাররা তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারে’।