তেভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমরেড অমল সেনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে

243
40

স্টাফ রিপোর্টার

কৃষকদের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের ষোড়শ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে নড়াইল যশোরের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ী গ্রামে ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে দু’দিনব্যাপি (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) অমল সেন স্মরণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দুদিনব্যাপী এই মেলার শুভ সূচনা হয়। মেলায় আলোচনা সভা, কৃষক সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গ্রামীন মেলাসহ নানা ধরণের অনুষ্ঠানাদি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার কমরেড অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, কামরুল আহসান, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি এ্যাডঃ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাবেক এমপি এ্যাডঃ শেখ হাফিজুর রহমান, এ্যাডঃ নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বামপন্থী দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

প্রথম দিনেঅনুষ্ঠিত হচ্ছে আলেঅচনা সভা, আবৃতি, গণসঙ্গীত, গণনাটক ও গণসংগ্রাম ভিত্তিক চলচিত্র প্রদশর্নী ও লোকজ মেলা । দ্বিতীয় দিনেও অনুরূপ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি ইশবাল কবীর জাহিদ।

 

কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ শে জুলাই আউড়িয়ার প্রখ্যাত রায় পরিবারে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বৃটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। দৌলতপুর বিএল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় মার্কসবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং গণিত শাস্ত্রে অনার্স পড়াকালীন সময়ে নড়াইলে ফিরে এসে কৃষকদের অধিকার আদায়ের আব্দোলন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং জীবদ্দশায় আর পিতৃগৃহে ফিরে যাননি অকৃতদার এই বিপ্লবী। নড়াইলের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের তিনিই ছিলেন প্রধান সংগঠক। পাকিস্তান আমলের তেইশ বছরের উনিশ বছরই পাকিস্তানী শাসকেরা তাকে কারান্তরালে কাটাতে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হিসাবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ সালের ১৭জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।