লোহাগড়ার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

3
127

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিজে পশু চিকিৎসা না করে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের দিয়ে করিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন খামারীরা। এছাড়া অন্যের নামে বাসা বরাদ্দ দেখিয়ে নিজেই বসবাস করছেন তিনি।
জানাগেছে, প্রায় ৮ বছর একই কর্মস্থলে থাকায় জড়িয়ে পড়েছেন অনিয়ম দুর্নিতীতে। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠার কারণে নিয়ম নীতির পরোয়া করেন না। অফিসকে নিজের দখলীয় সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করছেন।

প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সরকারি দলেরর প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। যাতে তার অনিয়মের প্রতিবেদন প্রকাশিত না হয়।

ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কচুবাড়িয়া গ্রামের খামারী মোঃ হায়দার বলেন, আমি ৩৫টা গাভী পালন করি। গাভীর নানান অসুখ হলে ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ সাহেবকে বললে তিনি নিজে না এসে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের পাঠান। বিধায় আমরা এখন গরুর অসুখ হলে যশোর থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করাই।

দাসেরডাঙ্গা গ্রামের খামারী বাবলু মিয়া বলেন, লোহাগড়া পশু হাসপাতালের ডাক্তার আমাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করেন না। হাসপাতালে গরু নিয়ে গেলে ডাক্তার সাহেব না দেখে কম্পাউন্ডার দের দিয়ে দেখান।

গন্ধবাড়িয়া গ্রামের ফারুক মোল্যা জানান, লোহাগড়া পশু হাসপাতালে আমাদের গরুর ভালো চিকিৎসা পাইনা। তিনি আরও বলেন, আমরা যারা প্রকৃত গরুর খামারী তাদের সাথে ডাক্তার কাজী মুস্তাইন বিল্লাহর কোন সম্পর্ক নাই। আর যারা খামারী না তাদের সাথে ওনার দহরম মহরম সম্পর্ক।

পাচুড়িয়া গ্রামের খামারী ইকবল শেখ জানান, ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের সরিয়ে অবৈধভাবে হাসপাতালের ২য় তলায় আবাসিক হিসাবে বসবাস শুরু করে অদ্যাবধি বসবাস করছেন।

পদ্ববিলা গ্রামের খামারী সাইফুল শেখ ও মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের সাথে আতাত করে ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ দাপটের সাথে চলেন। তাই তিনি কোন এলাকায় পশুদের চিকিৎসা করতে যাননা কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের পাঠান। পশু হাসপাতালে ইচ্ছা হলে মাঝে মাঝে পশুদের চিকিৎসা করেন।

লোহাগড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য এসব চক্রান্ত। হাসপাতালের ২য় তলায় থাকার বিষয়ে বলেন, আমি বিভাগীয় কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ৩জন কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের নামে বরাদ্ধ নিয়ে থাকি এবং নিয়মিত ভাড়াও পরিশোধ করি।

কোন বিভাগীয় কর্মকর্তা অনুমতি দিয়েছেন ও কোন কোন কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের নামে বরাদ্ধ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।