হাদীস/বুখারী শরীফ
৮৩৯ – আদম (রহঃ) সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুম্মার দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল থেকে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে এরপর বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, তারপর তার নির্ধারিত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুম্মা থেকে আরেক জুম্মা পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
৮৬২ – আদম ও আবূল ইয়ামান (রহঃ) – আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যখন সালাত (নামায/নামাজ) শুরু হয়, তখন দৌড়িয়ে গিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) যোগদান করবে। সালাত (নামায/নামাজ) ধীরস্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামা’তের সাথে সালাত (নামায/নামাজ) যতটুকু পাও আদায় কর, আর যা ফাওত হয়ে গেছে, পরে তা পুরো করে নাও।
৮৬৫ – মুহাম্মদ ইবনু সাল্লাম (রহঃ) -ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, যেন কেউ তার ভাইকে তার বসার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সে জায়গায় না বসে। ইবনু জুরাইজ (রহঃ) বলেন, আমি নাফি’ (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কি শুধু জুম্মার ব্যাপারে? তিনি বললেন, জুম্মা ও অন্যান্য (সালাত (নামায/নামাজ)-এর) ব্যাপারেও (এ নির্দেশ প্রযোজ্য)।
৮৮২ – আদম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুম্মার দিন মসজিদের দরজায় ফিরিশতাগণ অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমণকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। তারপর আগমণকারী ব্যাক্তি মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমণকারী ব্যাক্তি একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফিরিশতাগণ তাঁদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহ খুতবা শুনতে থাকেন।
৮৮৪ – আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক জুম্মার দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করল। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছ কি? সে বলল, না, তিনি বললেনঃ উঠ, দু’ রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নাও।
৮৮৫ – মূসা’দ্দাদ (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক জুম্মার দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! (পানির অভাবে) ঘোড়া মরে যাচ্ছে, ছাগল বকরীও মরে যাচ্ছে। কাজেই আপনি দু’আ করুন, যেন আল্লাহ আমাদেরকে বৃষ্টি দান করেন। তখন তিনি দু’হাত প্রসারিত করলেন এবং দু’আ করলেন।
৮৮৮ – আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর দিন সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে কোন মুসলিম বান্দা যদি এ সময় সালাত (নামায/নামাজ) দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র নিকট কিছু চায়, তা হলে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।